Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সংসদ সদস্য হত্যা প্রমাণ করে সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ : মির্জা ফখরুল

| প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গাইবান্ধার সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার ঘটনাই প্রমাণ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ।
গতকাল সোমবার ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে এই হত্যার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের জীবনের নিরাপত্তা দিতে। তাদের প্রশ্রয়ের কারণে আজকে দুর্বৃত্তরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সমগ্র সমাজ ও রাষ্ট্রে।
আজকে যেমন একজন এমপি নিরাপদ নন এবং সাধারণ মানুষও নিরাপদ নয়। এদেশে আজকে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে দলীয় স্বার্থে।
তিনি বলেন, তারা তাদের অপকর্মগুলোকে সবসময় অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, এটা তাদের স্বভাব। এতে সত্য কখনো চাপা থাকে না। এটাই সত্য যে, এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করতে।
ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলকে দমন করছে, ছাত্রদেরকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে দিচ্ছে না। আজকে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য ছাত্রদল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ নিয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু প্রমুখ এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে, গতকাল বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘জীবন বাঁচাতে আমাকে ক্ষমতায় আসতে হবে’ এরশাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন সে জন্য আগে জনগণের কাছে ক্ষমা চান। জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ ক্ষমা করলে করতেও পারে।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভায় এরশাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, আপনি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছেন। এখন আবার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অনির্বাচিত সরকারের সহযোগী হয়েছেন। কাজেই বলব আগে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে আসুন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল ও ভিন্নমত দমনে জাতীয় ঐক্য বাদ দিয়ে দলীয় স্বার্থে জঙ্গিবাদকে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছে।
জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) জঙ্গি অভিযোগে এবং জঙ্গি সন্দেহে এ পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করেছে তাদের সবাইকেই তদন্তের আগে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। এ ক্রসফায়ার কিসের আলামত?
দেশের সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, দেশ কঠিন দুঃসময় অতিক্রম করছে। ক্ষমতাসীনরা সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ভিন্নমতকে দমন ও ধ্বংস করতে চায়। অতীতেও এরা ভিন্নমত দমন করে শেষ পর্যন্ত একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন চালাচ্ছে। তাই আসুন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি। কারণ বাংলাদেশে কোথাও শান্তি নেই, কেউ আজ নিরাপদ নয়। দেশ  জবরদখলকারী, জুলুমবাজ ও অত্যাচারী সরকারের পাল্লায় পড়েছে।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, আহসান হাবিব লিঙ্কন, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ