Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

স্ক্রিম চালু না করায় টিনর বিলের মাটি ফেটে চৌচির, কৃষকের মাথায় হাত

বালু ফেলা ও ক্যানেল ভরাটের অজুহাত

| প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খলিল শিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কৃষি জমিতে পানি সেচের অভাবে কৃত্রিম খড়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাই কৃষি জমিতে ফসল চাষ করতে না পারার শঙ্কায় স্থানীয় কৃষকের দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিনর গ্রামের প্রায় ৩শ’ বিঘা কৃষি জমিতে পানি সেচের অভাবে মাটি ফেটে কৃত্রিম খড়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব কৃষি জমিতে মৌসুমী ফসলাদিসহ ইরি ও বোরো ধানের আবাদ হতো এতদিন। তবে স্থানীয় পানি সেচ পরিচালকের গাফিলতিতে এ বছর এসব জমিতে কৃষক কোনো ফসল ফলাতে পারবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে সংশয়। তাই কৃষকদের মধ্যে কেউ কেউ শ্যালো চালিত মেশিন দিয়ে সেচের কাজ করলেও তা ব্যয়বহুল হওয়াতে অন্যরা এতে আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে অনাবাদী থেকে যাচ্ছে টিনর বিলের জমি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, টিনর এলাকায় রুহুল আমিন নামীয় এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ স্ক্রিম চালিয়ে টিনর বিলের ফসলী জমির চাষাবাদে পানি সরবরাহ করতেন। সম্প্রতি  কিছু জমিতে আবাসন কোম্পানির বালু ফেলা ও স্ক্রিম ক্যানেল ভরাট করার অজুহাতে  ফসল আবাদের সময় পেরিয়ে গেলেও স্কিম চালু করছেন না। এতে একদিকে স্থানীয় কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। স্থানীয় কৃষক ইসমে আজম বলেন, পানি সেচের অভাবে আমাদের ৪ বিঘা জমিতে এবার কীভাবে চাষ করবো তা নিয়ে শঙ্কিত। এদিকে এই জমি চাষ না করলে ঘরে ফসল উঠবে না। আর ফসল না উঠলে সারা বছর ঋণ করে চলতে হবে। স্থানীয় স্ক্রিম চালক রুহুল আমিন বলেন ভিন্ন কথা। স্থানীয় কৃষকরা ঠিকমত  বৈদ্যুতিক  বিল ও পানির বিল পরিশোধ না করায় এ প্রজেক্ট বন্ধ রেখেছেন তিনি। এতে কৃষকের ক্ষতি হলেও তাতে মাথা ব্যথা নেই তার। তবে অন্য কোনো ব্যবসায়ীকে এ এলাকায় স্ক্রিম প্রজেক্ট পরিচালনায় বাধাও দিবেন না বলে দাবি তার। স্থানীয় কৃষকদের দাবি যে কোনো মূল্যে এই এলাকায় পানি সেচের ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ নজর দেয়ার। তারা মনে করছেন, এসব আবাদি জমিতে ফসল না হলে টিনর গ্রামের লোকজন অর্ধাহারে ও ঋণ করে তাদের সংসার চালাতে হবে। এসব বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুরাদুল হাসান বলেন, কোনো স্ক্রিম পজেক্ট পরিচালকের গাফিলতির কারণে কৃষি ফসলে আবাদ বাধাগ্রস্ত হলে তার প্রজেক্ট সনদ বাতিল করা হবে। ত্বরিত কৃষকের বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে হলেও চাষাবাদ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ