রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থার্টিফার্স্ট নাইটে দুই যাত্রা শিল্পী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যা থেকেই যাত্রাপালা ও জুয়ার আসর শুরু হয়। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কর্নেল, রিংকুু, যুবলীগের যাদব, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ, কাউসারসহ বেশ কয়েকজন মদ্যপ অবস্থায় যাত্রার আসরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে যাত্রার আসরের পাশের যাত্রার গ্রীনরুমে ঢুকে পড়ে এবং সেখান থেকে দুইজন নারী যাত্রাশিল্পীকে অপহরণ করে পাশের বাঁশবাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তারা সঙ্গাহীন হলে বাগানে ফেলে চলে যায় ধর্ষকরা। প্রায় দুই ঘন্টা পর সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে থানার পাশের জোসনা বিউটি পার্লারের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রনি বিশ^াসকে ডেকে এনে চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনার পর ভোর রাতে যাত্রা দলের চলে যেতে চাইলে আয়োজক ইমরান হোসাইন, মনিরুজ্জামান সুমনসহ বেশ কয়েকজন অস্ত্রের মুখে তাদের আটকে রাখে। একপর্যায়ে হলমার্কেটে বসে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শিকদার মোশারফ হোসেন সোনার মধ্যস্ততায় ৫০ হাজার টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করতে বাধ্য হন। ক্ষোভ চেপে রেখেই যাত্রাপালা চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। গত ২৯ ডিসেম্বর শৈলকুপা নতুন ব্রীজের নিচে নদীর নির্জন চরে অশ্লীল যাত্রা ও জুয়ার আসরের উদ্বোধন করেন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই। উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের ক্যাডাররা জুয়া-যাত্রার আয়োজন করে। অভিযোগ রয়েছে, যাত্রপালায় অশ্লীলতার অভিযোগে উদ্বোধনের শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন সাধারণ মানুষসহ অন্তত ৯টি ইসলামী সংগঠন। তাদের আপত্তির মুখে এখনও জেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ যাত্রাপালা চালানোর অনুমতি দেয়নি। কিন্তু সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধাকে পিটিয়ে সমালোচিত হওয়া এমপি আব্দুল হাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গত ৫ দিন ধরে যাত্রাপালার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছেন তার ক্যাডাররা। আয়োজক কমিটির সভাপতি দেলোয়ার কবির বলেন, থার্টিফাস্ট নাইটে সবাই একটু আধটু মজা করে। কিন্তু যাত্রাপালায় কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। শৈলকুপা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, গণধর্ষণের কথা তিনি লোক মুখে শুনেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শৈলকুপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম বলেন, গণধর্ষণের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তবে নদীর চরে একটি যাত্রার আয়োজনের খবর তিনি শুনেছেন। এসএসসি পরীক্ষা সামনে থাকায় এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।