রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের বর্ণি বাঁওড়ের রূপালী চরে বিষমুক্ত সবুজ লাউয়ের সমারোহ। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ওই বাঁওড়ের নকড়িরচরের ১ হাজার কৃষক উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পরিবেশবান্ধব ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় লাউ আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন। চরের প্রতিটি মাচায় দুলছে লাউ। কৃষক এখান থেকে প্রতিদিন লাউ বাজারজাত করে কাঁচা পয়সা ঘরে তুলছেন। অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ লাউ খেতে সুস্বাদু। বেশি দাম দিয়ে ক্রেতারা চরের লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই কৃষক বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ বছর ওই চরের ৬ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত নিরাপদ লাউয়ের আবাদ করেছেন সহস্রাধিক কৃষক। প্রতি হেক্টরে খরচ বাদে কৃষক অন্তত ৪ লাখ টাকা লাভ পাবেন বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। নকড়িরচর গ্রামের কৃষক মো. বোরহান মল্লিক, মো. জাকির সরদার ও বাচ্চু সিকদার বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমরা কৃষি বিভাগ ও পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শে কচুরিপানার বেডে ভাসমান সবজি চাষ করি। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর ওই বেড মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে লাউয়ের আবাদ করেছি। লাউয়ের ফলন ভালো। তাই বেশি লাভ হচ্ছে।
ওই গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক বলেন, আমরা গত ২০ বছর ধরে এ চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু লাভ তেমন হতো না। এখন কৃষি বিভাগ আধুনিক প্রযুক্তি, পরামর্শ, সেক্স ফেরমেন ফাদসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। তাই আমরা বিষমুক্ত নিরাপদ লাউসহ সবজি উৎপাদন করছি। আমাদের চরে সবজির চাষ ও উৎপাদন বেড়েছে। বাজারে এ সবজির চাহিদা ও দাম বেশি। এ কারণে আমরা পয়সার মুখ দেখছি। ওই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার বলেন, নকড়িরচর গ্রাম পারকুশলী ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। এ ব্লকে বিষমুক্ত সবজির আবাদ প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের পরামর্শে কৃষক নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানু রহমান বলেন, সবজিতে মানব দেহের ক্ষতিকর বিষের ব্যবহার শূণ্যে নামিয়ে আনতে কৃষকের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ করে চরের কৃষক বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন। এতে কীটনাশকের খরচ বেঁচে যাচ্ছে। ফসলের উৎপাদন খরচ কমছে। তাদের আয় বাড়ছে। এ কারণে লাভজনক নিরাপদ সবজি চাষে কৃষক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।