Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংঘর্ষে আ.লীগ নেতার মৃত্যু : নেত্রকোনায় ১৩ বাড়িতে আগুন

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৭, ৩:১০ পিএম

নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিপক্ষের ১৩ বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। সকাল আটটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একটির পর একটি বাড়িতে এই আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
আগুনে উপজেলার রায়জুরা গ্রামের বাসিন্দা ও সান্ধিকোণা ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভূইঁয়া, তার ভাই সিদ্দিক ‍মিয়া, ফজলুল হক, আবুল হাসেম, আজিজুল হক, হাদিছ মিয়া, ভগ্নীপতি আলতাবুর রহমান, প্রতিবেশী মোতালেব, সুরুজ আলী, সুলতান, সেলিম, খোকন মিয়া ও হাছেন আলীর বাড়ি পুড়ে যায়।
আবু তাহের ভূইঁয়া জানান, আগুনে তার পাঁচটি ঘর, ঘরে থাকা সব মালামাল পুড়ে গেছে। তিনি জানান, চেংজানা গ্রামের অন্তত পাঁচশো লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই হামলা, লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনা চলে বলে। সকাল আটটায় আগুন দেয়া শুরু হলেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসে চার ঘণ্টা পর বেলা ১২টার দিকে।
স্থানীয়রা জানান, র‌্যাব, পুলিশ ঘটনার পর পর এলাকায় ছুটে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
উপজেলার সাহিতপুর বাজার অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষে। এতে আহত আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আজ ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে। তিনি উপজেলার সান্ধিকোণা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, সান্ধিকোণা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভুইঁয়া সাহিতপুর বাজার অটো টেম্পো, অটো রিক্সা ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। আড়াইমাস আগে তাকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর স্ট্যান্ডের কমিটি বাতিল করে দেয় জেলা কমিটি। এ সময় সান্ধিকোণা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, ইসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি অংশ স্ট্যান্ড পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এক মাস পর জামিনে মুক্তি পান আবু তাহের।
গত ২৭ ডিসেম্বর জেলা কমিটি আবার আবু তাহেরকে সভাপতি ও রোকন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়। পরদিন সকালে আবু তাহের ও রোকন মিয়া তার লোকজন নিয়ে স্ট্যান্ড দখলে গেলে ইসলাম উদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুলাল মিয়াকে প্রথমে কেন্দুয়া হাসপাতাল, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানান, নিহত আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল মিয়ার লাশ সন্ধ্যার দিকে ঢাকা থেকে নিজ গ্রাম চেংজানায় এসে পৌঁছবে। পরে সেখানে জানাজার পর তার মরদেহ দাফন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ