Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষার সুযোগ বাড়ায় এখনকার শিশুরা অনেক ভাগ্যবান

| প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বই বিতরণ উদ্বোধনকালে অর্থমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : বছরের প্রথম দিনে শিশুদের হাতে বই তুলে দিয়ে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আমাদের সময় এরকম নতুন বই আমরা পেতাম না। অনেক সময় পুরনো বই দিয়ে ক্লাস করতে হতো। গতকাল (রোববার) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বই বিতরণ উৎসবে অর্থমন্ত্রী তার শৈশবের কথা তুলে ধরেন। মুহিত বলেন, আমিও কালকে (শনিবার) রাত থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কাল থেকে ভাবছি, এমন একটা আসরে যাবো, যে আসরটা আমাদের সময়ে কখনো হতো না। আমি আজকে সকালে ভাবছিলাম, তোমাদের এখানে আসব, এ রকম অনুষ্ঠানটা আমি কখনো দেখিনি জীবনে, কী করব, কী বলব, কী কাপড় পরব সবই চিন্তা করেছি। তারপর একটু চিন্তা করে দেখলাম, আজকে একটু ভালো কাপড়চোপড় পরে যাই। বই কিভাবে উপভোগ করতে হবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনে আমার খুব আনন্দ, তোমাদের হাতে এই বইগুলো যাবে, তোমরা অত্যন্ত খুশি হবে, নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকবে এবং সেখানে মোটা মোটা হরফে নাম লিখে দেবে। এটা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার এবং তারপর যথাসময়ে যখন তোমাদের পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবে, তখন বইটি বিসর্জন করে দেবে। সেখানেও আনন্দ আছে। হ্যাঁ, আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি, বইটা পড়েছি, জ্ঞান আহরণ করেছি, শিক্ষিত হয়েছি।
শিশুদের উদ্দেশে মুহিত বলেন, বই তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যটা হচ্ছে, আমাকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে, শিক্ষাদীক্ষা করতে হবে, মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তাহলে আমি এ দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতে অবদান রাখতে পারব। শিক্ষার সুযোগ অনেক বাড়ার কারণে এখনকার শিশুরা অনেক সৌভাগ্যবান উল্লেখ করেন তিনি।
এই যে ভবিষ্যতটা গড়ে ওঠার দায়িত্বটা তোমরা এখন গ্রহণ করছ, আজকে নতুন বই নিয়ে, সেটার যে উদ্দেশ্য সেটা যদি সাফল্য লাভ করে তাহলে সেটা আজকের দিনে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। উৎসবে আসা কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়, হৈ-হুল্লোড়ে আর পতাকা উড়িয়ে তারা মাতিয়ে রাখে মাঠ। ছিল শিশুদের নাচ-গান আর সিসিমপুরের পরিবেশনা। এসময় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতিতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ঘাটতি কিছুদিন পর থাকবে না বলে আশাও  দেখান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ