Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেলো সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো

প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৫৮ এএম, ২ জানুয়ারি, ২০১৭

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের রপ্তানি খাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সরকার ব্যবসায়ীদের সকল ধরনের সহযোগিতা করছে। এর অংশ হিসাবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরীর লক্ষ্যে সরকার রপ্তানি ট্রফিও দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের। গতকাল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২২তম আসর উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ করেন। স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ তিন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
এদিকে গতকাল মেলায় দেখা গেছে, মেলা সাজানো গোছানোয় ব্যস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সংখ্যা খুবই কম ছিল। তবে মেলা কয়েক দিনের মধ্যে জমে উঠবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা। এবার সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জাতীয় রপ্তানি ট্রফিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড। নির্ধারিত ৩২টি পণ্য ও সেবা ক্যাটাগরির ১৯২টি আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টি স্বর্ণ, ২২টি রৌপ্য এবং ১৫টি ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। এই হিসাবে মোট ৬৬ টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। স্বর্ণপদক পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- তৈরি পোশাকে একেএম নিটওয়্যার লিমিটেড, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, সকল ধরনের সুতায় কামাল ইয়ার্ন, টেক্সটাইল ফেব্রিক্স প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইলে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স, টেরিটাওয়েলে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস, হিমায়িত খাদ্যে অ্যাপেক্স ফুড্স, কাঁচা পাটে পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ, পাটজাত দ্রব্যে আকিজ জুট মিল্স, চামড়ায় অ্যাপেক্স ট্যানারি, চামড়াজাত পণ্যে পিকার্ড বাংলাদেশ, ফুটওয়ারে ফুটবেড ফুটওয়্যার, কৃষিজ পণ্য মনসুর জেনারেল ফিডিং ।
অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ে প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড, ফুল-ফলিয়েজে মেসার্স রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, হস্তশিল্প পণ্যে কারুপণ্য রংপুর, প্লাস্টিক পণ্যে বেঙ্গল প্লাস্টিক, সিরামিক সামগ্রীতে ফার সিরামিক্স, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যে বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ, অন্যান্য শিল্পজাত পণ্যে মেরিন সেইফটি সিস্টেম, ফার্মাসিউটিক্যালসে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স, কম্পিউটার ও সফটওয়্যারে সার্ভিস ইঞ্জিন, ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাক খাতে ইউনিভার্সেল জিন্স, ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশ মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাতে শাশা ডেনিমস, প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজে মনট্রিম্স, অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে গাজী এন্টারপ্রাইজ, অন্যান্য সেবা খাতে মীর টেলিকম, নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে আর আর ট্রেড সিন্ডিকেট স্বর্ণ পদক পেয়েছে।
রৌপ্য পদক পেয়েছে অ্যাপারেল গ্যালারি, স্কয়ার ফ্যাশনস, বাদশা টেক্সটাইল্স, এনভয় টেক্সটাইল্স, ইউনিলায়েন্স টেক্সটাইল্স, হোসেন ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিল্স, সিমার্ক (বিডি), জনতা জুট মিল্স, এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ, বে ফুটওয়্যার, এগ্রিকনসার্ন, সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, মেসার্স ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, বিডি ক্রিয়েশন, বেঙ্গল প্লাস্টিক্স, প্রতীক সিরামিকস, বিএসআরএম স্টিলস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল্স, জিন্স ২০০০, মেসার্স ইউনিগেøারি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং ও ফার্ম ফ্রেশ এন্টারপ্রাইজ। এছাড়া ইন্টারফ্যাব শার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, ফকির নিটওয়্যার্স, মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল্স, নোমান উইভিং মিল্স, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস, করিম জুট স্পিনার্স, আকিজ ফুটওয়্যার, হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজ, প্রাণ ফুডস, মেসার্স হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্স, ডিউরেবল প্লাস্টিক্স, মুন্নু সিরামিক, এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ওয়ালটনের ল্যাপটপ হাতে নিয়ে দেখেন। দেশীয় প্রযুক্তি পণ্যের উৎকর্ষতার প্রশংসা করেন। সে সময় প্যাভিলিয়নে উপস্থিত ওয়ালটনের কর্মকর্তারা জানান, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটনের পণ্য সামগ্রী ও দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশে ওয়ালটনের অগ্রগতি দেখে অভিভূত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, কম্প্রেসার, ফ্রিজ ও এনার্জি সেভিং হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসব পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। এবারের মেলার মাঠের আয়তন ৩১ দশমিক ৫৩ একর। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারের মেলায় প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে (পূর্ববর্তী ৩ বছরের মতো) প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জন প্রতি ২০ টাকা। ভিআইপি গেইটে গাড়ি আগমন ও নির্গমনের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ বছর মেলায় বাংলাদেশসহ অংশ নিয়েছে ২১টি দেশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ