রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এমএস এমরান কাদেরী, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে উপজেলা পরিষদের কাঁচাবাজারের নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও সেখানে বসেনা বাজার। প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যক্তি উদ্যোগে সদরের ব্যস্ততম সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে দিব্বি অবৈধ বাজার গড়ে তুলেছে স্বার্থান্বেষী একটি মহল। দিনকে দিন এ বাজারের প্রসারতার কারণে সদরের ব্যস্ততম এলাকায় জনচলাচলে বিঘ্নসহ যান চলাচলেও সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত অসহনীয় যানজটের। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় ৫০ গজের ভেতরে এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও মোটা অংকের মাসোহারার কারণে মুখ খুলতে পারছেন না কর্তারা। ফলে সরকার বা উপজেলা পরিষদ প্রতি বছর হারাচ্ছে অন্তত কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা পরিষদের নির্দিষ্ট জায়গায় কাঁচাবাজার পুনরায় চালু করার দাবি জানান এলাকাবাসী। এছাড়াও এ অবৈধ বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্রেতাসাধরণকে জিম্মি করে ইচ্ছেমত বাজারদর নির্ধারণের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কিন্তু এ বাজারের অবৈধ টাকায় পকেট ভারি হচ্ছে উপজেলা ও থানা প্রশাসনসহ স্থানীয় কিছু পাতি নেতার। ফলে প্রশাসন অবৈধ বাজার ব্যবস্থা বন্ধে বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি একবারও। পূর্ব গোমদ-ীর মুছলেম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা পরিষদের দখলীয় সরকারি নির্দিষ্ট কাঁচাবাজার ও মার্কেট থাকলেও প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় হাতছাড়া হতে বসেছে অবৈধ দখলদারীদের কালো থাবায়। তবে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা মাসোহারা নিয়ে অতি উৎসাহী ভূমিকায় কাঁচাবাজারের নির্দিষ্ট জায়গা ব্যবহার না করে অবৈধ বাজারের উত্থান করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তিনি বলেন, উপজেলা সদরে পরিষদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ এ সরকারি জায়গায় কাঁচাবাজারের নির্দিষ্ট স্থান ছিল দীর্ঘদিন। কিন্তু অসাধু কিছু ব্যবসায়ী, দলীয় পাতি নেতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধ আর্থিক সুবিধা ভোগের লক্ষ্যে জনগণের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গড়ে তুলে অবৈধ বাজার। জানা যায়, অবৈধ এ বাজার উচ্ছেদের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিক ও মৌখিকভাবে বহুবার বলা হলেও অদৃশ্য কারণে বাস্তবায়ন হয় না। বার বার তারা সভা-সমাবেশে অবৈধ বাজার উচ্ছেদ করে পরিষদের নির্দিষ্ট জায়গায় বাজার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার কথা বলে আসলেও মাসোহারা ও বিভিন্ন সুবিধা নেয়ার কারণে তা করেন না। ফলে তারা দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। নষ্ট করছে সদরের পরিবেশ, বিঘœœ ঘটছে জন ও যান চলাচলের। বৃদ্ধি পাচ্ছে যানজটসহ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পড়–য়া ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অফিস আদালতের আসা হাজার হাজার মানুষ। কষ্ট পাচ্ছেন সদরে অবস্থিত হাসপাতালে আসা রোগীরা। সব মিলিয়ে অবৈধ বাজারটি লাখ লাখ মানুষের ক্ষতির যথেষ্ট কারণ হয়ে দাঁড়ালেও উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নির্লিপ্ত। পৌরসভা প্রশাসনতো যেন উপজেলা প্রশাসনের আজ্ঞাবহ। মো. নাছির উদ্দিন, সাইদুল হক, আবদুল মন্নান, আবুল ফজলসহ অনেকেই বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্দিষ্ট জায়গায় কাঁচাবাজার বসলে যানচলাচল, জনগণ চলাচলসহ আরো অনেক সমস্যা দূর হবে। সেই সাথে সরকার পাবে নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব, কমবে অবৈধ চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। স্বচ্ছতা আসবে প্রশাসনের কর্তাদের কাজকর্মে। সুবিধা হবে তদারকিতে, লাভাবান হবে সাধারণ মানুষ। বিনা রসিদ ও বেলা হিসেবে অর্থ আত্মসাতের প্রবণতাও কমবে। ব্যবসায়ীরা হয়রানি উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ পাতি নেতাদের চাঁদাবাজি ও হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।