Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজাপুরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে অর্ধশত প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

| প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা : ঝালকাঠির রাজাপুরে ৫০টি সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়গুলো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে কোন রকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারি শিক্ষকরা সেচ্ছাচারিতা এবং ইচ্ছে মত পাঠদানসহ স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ১২২টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে এর মধ্যে ৪নং তারাবুনিয়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬নং দক্ষিণ তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭নং দক্ষিন তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮নং দঃ পঃ তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮নং পঃ ফুলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫নং ছোট কৈবর্তখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং লেবুবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৬নং চরকেওতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৪নং ভাতকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫৫নং আদাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক না থাকায় ওইসব স্কুলের প্রশাসনিক কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে এবং সহকারি শিক্ষকরাও সঠিকভাবে ক্লাস না করিয়ে নামকাওয়াস্তে কার্যক্রম করে যাচ্ছে। এ সুযোগে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকরা স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছে মত পাঠদানসহ স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এমনকি রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই সকল বিদ্যালয়ের কিছুসংখ্যক দপ্তরী ও সহকারী শিক্ষক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদেরকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব স্কুলে সঠিক সময়ে ক্লাস শুরু হয় না এবং পূর্ণ সময়ের পূর্বেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। ওই সকল বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা নতুন বছরের লেখাপড়ার শুরুতেই দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকরা সঠিক সময়ে স্কুলে যেতে চান না এবং সঠিকভাবে পাঠদান করান না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হলে এবং নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলে এ সমস্যা সমাধান হবে বলেও জানান রফিকুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ