Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘনকুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ১২ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল শুরু

উভয় ঘাটে যানজট, যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

| প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আরিচা সংবাদদাতা : ঘনকুয়াশার কারণে শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ফলে দুই পারে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পাটুরিয়ায় ৫ কিলোমিটার ও দৌলতদিয়ায় ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার উপর বিস্তৃতি হয়ে পড়ে। ঘাটে ও মাঝ নদীতে ফেরির ভীতর আটকে পড়া যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জানা গেছে, গত কয়েকদিন যাবৎ নদী অববাহিকায় ঘণকুয়াশা পড়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া নৌ-রুটের ফেরি সার্ভিস। ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উভয় ঘাটে ফেরি পারা-পারের জন্য শনিবার রাতে আসা নৈশ কোচগুলো গতকাল রোববার দুপুরেও পার হতে পারেনি। শীতের মধ্যে দীর্ঘ এ সময় যাত্রীদেরকে কোচের ভীতর বসেই নির্ঘুম রাত্রী যাপন করতে হয়। বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীদের বেশী অসুবিধা হচ্ছে। এদের শীতের মধ্যে খাবার সংকট ও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়াসহ নানা ধরণের ঝামেলায় পড়তে হয়। বিআইডব্লিউটিসি’র পাটুরিয়া ঘাট ম্যানেজার নাসির উদ্দিন জানান, শনিবার সন্ধার পর থেকেই নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্বও বেড়ে যায়। এসময় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ শনিবার রাত ১২টার পর থেকে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময়  কুয়াশার জালে মাঝ পদ্মায় আটকে পরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে চলাচলকারী ফেরি হাসনা হেনা, চন্দ্র মল্লিকা এবং গোলাম মওলা নামের তিনটি ফেরি। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শত শত যাত্রী আর যানবাহন নিয়ে কুয়াশার বন্দি দশা থেকে মুক্ত হতে পারেনি উক্ত ফেরি তিনটি। একই ভাবে পাটুরিয়া ঘাটে আটটি ফেরি যানবাহন বোঝাই করে নোঙর করে আছে। অন্যদিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে আরো ৫টি ফেরি কুয়াশার কারনে নোঙর করে আছে। বিআইডব্লিউটিস’র আরিচা অফিস সুত্রে জানা গেছে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে নদী পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে যাত্রীবাহীবাস, মাইক্রোবাস ও পন্যবোঝাই ট্রাকসহ সহশ্রাধিক যানবাহন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ