বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্টজনকে বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ-২০১৬ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আরো তিনজনকে বাংলা একাডেমি পরিচালিত পৃথক তিনটি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৩৯তম বার্ষিক সভায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ফেলোশিপপ্রাপ্তরা হচ্ছেনÑ তোয়াব খান (সাংবাদিকতা), ব্যারিস্টার রফিক-উল হক (আইন ও সুশাসন), ইমেরিটাস অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন (শিক্ষা ও গবেষণা), ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী (শিক্ষা), বেগম মুশতারী শফী (মুক্তিযুদ্ধ), রথীন্দ্রনাথ রায় (সঙ্গীত) এবং শাইখ সিরাজ (কৃষি উন্নয়ন)।
এছাড়া বাংলা কবিতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি আবুবকর সিদ্দিককে মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার-২০১৬, শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেনকে কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ এবং কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কথাসাহিত্যিক হোসেনউদ্দীন হোসেনকে সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৬ প্রদান করা হয়।
মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার এবং কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা এবং সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা।
পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র, সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় বার্ষিক সাধারণ সভা। সাংস্কৃতিক সংগঠন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে যাওয়া এ বছর যা মারা গেছেন সেই গুণী ব্যক্তিদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক মুর্শিদুদ্দিন আহম্মদ। মারা যাওয়া গুণীদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ২০১৫-১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ২০১৬-১৭ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন।
সাধারণ সভায় সারাদেশ থেকে বাংলা একাডেমির ফেলো, জীবনসদস্য এবং সদস্যসহ বিশিষ্টজনরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সারাদেশ থেকে আগত একাডেমির ফেলো, জীবনসদস্য ও সদস্যদের সম্মতিক্রমে অনুমোদন ঘোষণা করেন বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৬-এর সভাপতি এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ২০১৫-১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় এই একাডেমি বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিনাশী ধারা ও মানবিক চৈতন্যে ভাস্বর, ইহজাগতিক বোধে দীপ্ত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ভিত্তিতে গঠিত বাঙালি জাতিসত্তার এক অনন্য প্রতীক প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং যুগান্তকারী গবেষণামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একাডেমি এক নতুন যুগে উন্নীত হয়েছে। চলমান আরো বেশ কিছু কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতের বাংলা একাডেমি আমাদের পূর্ব প্রজন্মের গর্ব ও অহঙ্কারের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঠিকানায় রূপ নেবে।
একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ২০১৬-১৭ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন। একাডেমির সদস্যরা বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। একাডেমির মহাপরিচালক সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং উত্থাপিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য প্রদান করেন।
সভাপতির ভাষণে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, সারাদেশ থেকে বাংলা একাডেমির সদস্য, জীবনসদস্য ও ফেলোদের অংশগ্রহণে একাডেমির সাধারণ পরিষদের ঊনচল্লিশতম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের সাংস্কৃতিক জীবনে বাংলা একাডেমির যুক্ততা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। একাডেমির কাছে মানুষের আকাক্সক্ষাও অনেক। আমরা আশা করি, মনন ও মেধাচর্চায় ভূমিকা রেখে একাডেমি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক মান উন্নতকরণে আরো সচেষ্ট হবে।
সাধারণ সভার কার্যক্রম সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।