Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন উস্কে দেয়ার চক্রান্ত-ওলামালীগ ও অন্য নেতৃবৃন্দ

মূর্তি সরিয়ে আন্দোলনের ইস্যু বন্ধ করতে হবে

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ নেতৃবৃন্দ আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেয়ার অপচেষ্ঠা বন্ধ করতে হবে। জামাত-জোট হেফাযতকে এ নিয়ে আন্দোলনের সুযোগ করে দেয়া বন্ধ করতে হবে।
তারা বলেন, ঘাঁপটি মেরে থাকা সরকারবিরোধী মহল, সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ করে দিতেই সংখাগরিষ্ট মুসলমান দেশে অন্য ধর্মের মূর্তি তথা গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপনের ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।  
তারা বলেন, গ্রীক পৌরণিক কাহিনী অনুযায়ী গ্রীকদের ন্যায় বিচারের দেবী বা ‘লেডি অব জাস্টিস’ হলো দেবী ‘থেমিস’। যার এক হাতে খোলা তলোয়ার। কালো কাপড়ে দু’চোখ বাধা এবং অপর হাতে থাকে দাড়িপাল্লা। সেই গ্রীকদের দেবী থেমিসের মূর্তি দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতির উপর চরম আঘাত। কারণ দ্বীন ইসলামে যেকোন ধরনের মূর্তি তৈরি করা সম্পুর্ণরূপে হারাম। হাদিস শরিফে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আমি মূর্তি এবং বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করার জন্য প্রেরিত হয়েছি।” সেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন করা সরকারকে বিতর্কিত করা।
তারা বলেন, সংবিধানে যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম স্বীকৃত সেখানে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের ধর্মীয় স্বকীয়তাকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্য ধর্মীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সৃষ্টির অপকৌশল। এর মাধ্যমে সরকারবিরোধী ঘাঁপটি মেরে থাকা মহল ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংখ্যাগরিষ্ট হিসেবে মুসলমানদের কোন ধর্মীয় নিদর্শন এখানে স্থাপন করা উচিত ছিল। যাতে সরকারকে আরো জনপ্রিয় ও ধর্মপ্রাণদের সরকার হিসেবে তুলে ধরা যায়। কিন্তু তা না করে অপশক্তি এ বিতর্কিত এ সিদ্ধান্তের কারণে জামাত-জোট, হেফাযত এখন আন্দোলনের সুযোগ পাবে। এটা মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে বেকায়দায় ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র। এর পেছনে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে সরকার বিরোধী সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ না দিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি সরিয়ে ফেলতে হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারি, সাধারণ সম্পাদক- আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, আলহাজ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী-সভাপতি-বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশন। মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি সহ-সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ। হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি হুযূর-সভাপতি বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ