Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজকের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

উপ-সম্পাদকীয়

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আফতাব চৌধুরী : মানুষের সংজ্ঞা মানুষ নিজেই দিয়েছে। মানুষ হলো সেই যার মধ্যে মান এবং হুঁশ আছে। মান এবং হুঁশ ছাড়া তো মানুষ হতেই পারে না। তর্কশাস্ত্র বলছে Rationality + Animality = Man. সেই Rationalityএবং Animality মানুষ জন্ম সূত্রেই অর্জন করে। স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করলে Rationalityহয়তো কমবেশি বাড়তে পারে কিন্তু Animality একেবারে কমে যাবে এরকম আশা আমরা কখনও করতে পারি না। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষের মনুষ্যত্ববোধকে কমিয়ে দিচ্ছে। আমাদের চারপাশে যে পরিবেশ সেই পরিবেশের দিকে চোখ খুলে তাকালেই আমরা তা সহজে উপলব্ধি করতে পারি। প্রচলিত বাক্য, বিদ্যা বিনয় দান করে। কিন্তু বর্তমানে স্কুল, কলেজ থেকে যেসব ছেলেমেয়ে সসম্মানে বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন ধরনের ডিগ্রি নিয়ে তাদের মধ্যে বিনয়ের পরিবর্তে অহঙ্কার, হামবড়াই ভাব এবং উদ্ধত আচরণই লক্ষ্য করা যায় আগামী ভবিষ্যৎ যে আমাদের আরও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে এটা তারই ইঙ্গিত বহন করে। শিক্ষা মানুষকে আলো দেখাবে, সঠিক পথের দিশা দেখাবে, মানুষের মধ্যে সুপ্ত সুকুমার প্রবৃত্তি জাগিয়ে তুলবে সৃষ্টিশীল কাজে চালিত করবে এটাই প্রত্যাশিত। শিক্ষা মানুষে মানুষে শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম ও ভালোবাসার কথা বলেÑ এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের প্রীতির বন্ধন অটুট করে। প্রকৃত শিক্ষা মানুষের জীবন দর্শনের কথা বলে। শিক্ষাই একমাত্র প্রসাধন যা মানুষকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর করতে পারে। একটা জাতির উন্নতির প্রথম শর্ত হচ্ছে শিক্ষা।
মনীষীদের দৃষ্টিতে মানুষের শিক্ষা শুরু হয় মাতৃজঠর থেকে। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যে কান্না শুরু করে সে কান্না কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিখে আসে না। কিছুদিন যাওয়ার পর শিশুটি হাসতেও শুরু করে। সেই হাসিও কাউকে শেখাতে হয় না। প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রত্যেক শিশু ওই গুণগুলো অর্জন করে নেয়। একটু বড় হওয়ার পর শিশুর পার্থিব শিক্ষা শুরু হয় কখনও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় বা কখনও অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায়। সেই শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব অর্জন শুধু মানুষের জন্য। পশুর জন্য নয়। পশুর পশুত্ব অর্জনের জন্য কোনও শিক্ষার প্রয়োজন নেই। জন্মসূত্রেই পশু সেটা অর্জন করে। পশু যে কোন পরিস্থিতিতে তার পশুত্ব হারায় না, কিন্তু মানুষ তার স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যে কোন ধরনের পথ অবলম্বন করতে পিছপা হয় না। এমনকি কিছু মানুষ হিংসাত্মক ঘটনা ঘটায় এবং পরে সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করে নিরাপত্তার জন্য। কারণ, তাদের মতে, তাদের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য যে কোন ধরনের অমানবিক পদক্ষেপ বৈধ। ওরা কোন শ্রেণীর মানুষ সময়ে তা বলে দেয়। কারণ, একটা প্রবাদ আছে ‘Time will discover everything to posterity; it is a babbler and speaks even when no question is put.’   
ওই মানুষগুলো শিক্ষাদীক্ষায় উন্নত। ওদের ডিগ্রির অভাব নেই। চিকিৎসা, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্যে ওরা অনেক এগিয়ে। পৃথিবীর স্থলপথ, পানিপথ এবং আকাশপথ সবকিছুই ওদের নখদর্পণে। এক নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে, গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ওদের অবাধ বিচরণ। কিন্তু যে কোন উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য কেন ওরা বাঁকা পথ অবলম্বন করে আজও পৃথিবীর কোন সমাজ বিজ্ঞানী তার সঠিক উত্তর নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকাময় দৃশ্য পৃথিবী বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক আলবার্ট আইনষ্টাইনের হৃদয়কে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আইনষ্টাইন ছিলেন মানবতাবাদী বিবেকসম্পন্ন মানুষ। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল মানবজাতির মঙ্গলের জন্য। মানুষের চাওয়া-পাওয়া, ভালো লাগা না-লাগা, মানুষের অন্তরের অন্তস্থলের সুপ্ত কামনা-বাসনা সবকিছুই তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। এজন্য তিনি বলতে সমর্থ হয়েছিলেন- ‘আমরা ছিন্ন বস্ত্র ও জীর্ণ আসবাবপত্রের জন্য লজ্জাবোধ করি। কিন্তু পঙ্গু দর্শন চিন্তা আর বিকৃত রুচিবোধের জন্য আমরা কখনও লজ্জাবোধ করি না এক্ষেত্রে আমাদের অধিক লজ্জিত হওয়া উচিত।’
বর্তমান শিক্ষা-ব্যবস্থা পঙ্গু দর্শন চিন্তা এবং বিকৃত রুচিবোধ থেকে সরিয়ে আমাদের উন্নত দর্শন এবং সুস্থ রুচিবোধের দিকে নিয়ে যেতে সমর্থ হবে কি? বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও সমাজবিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে এ নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। প্রখ্যাত লেখক রাসকিন বন্ড ‘Once a thief’ এ বোঝাতে চেয়েছেন একটা মানুষ চোর হয়ে জন্মায় না। প্রতিকূল পরিবেশ পরিস্থিতি বাধ্য করে তাকে চোর হতে। আবার ভালো পরিবেশ পেলে ওই চোর ভালো মানুষ হতে পারে। রাসনিক বন্ড বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে ওই গল্পটি পাঠকের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। তাই গল্পটি যথার্থ এবং গ্রহণযোগ্য।
বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ মাত্রেই বিশ্বাস করেন যে, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ ভালো মানুষের জন্ম দেয়। শিক্ষা ব্যবস্থায়ও সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ সবার কাম্য। পরিবেশ ভালো না হলে Product ভালো হয় না। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা একটা নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট নিয়ে বের হচ্ছে এবং আগামীদিনেও বের হবে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাড়পত্রের এখন অভাব নেই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সজ্জন ব্যক্তির বড়ই অভাব। বর্তমান সমাজ চায় খাঁটি মানুষ। যারা ভবিষ্যতে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েও সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারবে তারাই প্রকৃত অর্থে খাঁটি মানুষ, যথার্থ মানুষ। আজকের সমাজ এ ধরনের মানুষ আশা করে।
বর্তমান প্রজন্মেও কিছু সৎ লোক আছে। কিন্তু তারাও সুযোগ পেলে তাদের লোভকে সংবরণ করতে পারে না। তখন তাদের শিক্ষা আর বিবেক ধুলিসাৎ হয়ে যায়। সমাজে তাদের মতো মানুষের অনেক নামডাক। তারা সব সময় অপসংস্কৃতি আর অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে। এমনকি যুব সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করে সৎ এবং ন্যায়ের পথ থেকে যেন তারা সরে না যায়। সমাজের অশিক্ষিত কমশিক্ষিত, সাধারণ এবং অসহায় মানুষরা তাদের খুব ভয় যায়। কারণ, সমাজের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল পদগুলো তারা অলঙ্কৃত করে রেখেছে। আজকের সমাজে তারাই Friend, philosoper and guide. তারা যদিও সব সময় সংস্কৃতির কথা বলে, তবু তারা নিজেরাই অপসংস্কৃতির বেড়াজালে আবদ্ধ। ওই মুখোশধারী লোকগুলো সমাজের জন্য আরও ভয়ঙ্কর। এই চরিত্রটা পশুর মধ্যে পাওয়া যায় না। জীব জগতের মধ্যে মানুষই ওই চরিত্রের অধিকারী। তাছাড়া অর্থকরী বিদ্যায় সে পারদর্শী। তাই বুদ্ধিটাও অনেক ধারালো। এই ধরনের দ্বৈত অভিনয়ে সে অনেক দক্ষ। ওই চরিত্রের মানুষ আজ আমাদের সমাজসেবক। তাই অধ্যাপক ওসমান গনী আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আমি ব্যথিত হই না মানুষের মৃত্যুতে, ব্যথিত হই মনুষ্যত্বের মরণ দেখে।’
   আজকের সমাজে ভালো মানুষ, সৎ মানুষ একেবারে নেই তা কিন্তু বলার জন্য সার্টিফিকেট প্রয়োজন। বিখ্যাত নাট্যকার বানার্ড শ বর্তমান প্রজন্মের পক্ষে। অনেক আগেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তারই ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন ‘Life and learning’ প্রবন্ধে। বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জর্জ এলিয়টের মন্তব্য হচ্ছে No man can be wise on an empty stomach.’ তাদের মন্তব্য থেকে আমরা সবাই পরিষ্কারভাবে একটা বিষয় বুঝতে পারি, জীবিকার জন্য সার্টিফিকেটের প্রয়োজন অনস্বীকার্য, কারণ আগে তো বাঁচতে হবে। কিন্তু জীবনের জন্য সুস্থ জীবন দর্শন একান্ত আবশ্যক।
প্রকৃত পক্ষে বর্তমান শিক্ষা মানুষের কেবল বৈষয়িক বুদ্ধি বাড়িয়ে দেয়। বৈষয়িক বুদ্ধি দ্বারা পার্থিব ধন-সম্পদ, বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদির মালিক হওয়া যায়। কিন্তু প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না। ড. ওসমান গনী তার এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন ‘শিক্ষা লাভে বুদ্ধির তীক্ষèতা বাড়ে ঠিকই কিন্তু মানুষের স্বরূপ কেবল তার বুদ্ধিই নয়। বুদ্ধি মানুষের পথ চলার একটি উপায় মাত্র।’ তার মতে, ইচ্ছা যদি কল্যাণমুখী হয় তবে মানুষ নিজেরও ভালো করবে এবং অন্যেরও ভালো করবে। আর তা যদি অশুভ হয়ে পড়ে তবে বুদ্ধি থাকলেও অকল্যাণ রোধ করা যাবে না। একটি ছেলে পাঠশালা থেকেই কলম, পেন্সিল চুরি করা আরম্ভ করেছে। বড় হয়েও এ অভ্যাস তার যায়নি। এখন স্কুল-কলেজে পড়ে সে একজন বিশিষ্ট লোক হল। হয়ত ভোটের মাধ্যমে বসল গিয়ে সমাজের মাথায়। কিন্তু চুরির প্রবৃত্তি তার রয়েই গেছে। এখন তার বুদ্ধি বেড়েছে, তাই এখন আর পেন্সিল, কলম চুরি করে না। সে এখন কলম দিয়েই চুরি করতে শুরু করেছে। বিশ-পঁচিশ হাজার টাকা কলমের এক খোঁচায়ই সে মেরে দিচ্ছে। অর্থাৎ এখন সে আরও পাকা চোর হয়েছে। সে যখন ভদ্র সমাজে আসে তখন সবাই তাকে বলে ‘আসুন, বসুন,’ ইত্যাদি তাকে চোর বলতে কেউ সাহস পায় না। সে উঠে গেলে হয়ত চোর বলে তাকে গালমন্দ করে। শ্রদ্ধা কেউ করে না কিন্তু সে সমাজের উপরে তার আধিপত্য চালিয়েই যাচ্ছে।
আজকের সমাজে এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। এখন কলমের খোঁচায় বিশ-পঁচিশ হাজার নয়-বিশ-পঁচিশ লক্ষ, এমনকি হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে তারা। যারা আত্মসাৎ করছে তাদের নিন্দায় মুখর সমাজের ভদ্রলোক। কিন্তু তারা সংখ্যায় কম। প্রকৃতপক্ষে ঐ ভদ্রলোকদের সংখ্যা খুব কম। তারা সমাজে সে রকম প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না, সঠিক নেতৃত্বও দিতে পারছে না। আসলে সেটা হচ্ছে তাদের ব্যর্থতা। ওই ব্যর্থতার সুযোগ নিয়েছে সমাজের কিছু শিক্ষিত এবং দুষ্ট মনোবৃত্তির মানুষ। সমাজের দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্ত্রাসবাদীদের তা-বনৃত্য নারী নির্যাতন, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ-এগুলো এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এগুলো এখন মানুষের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে না। চোখ থেকেও অন্ধ, যদিও কান আছে, শুনতে পায় না। প্রতিবাদের ভাষাও ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে। আসলে আজকের মানুষ বাকরুদ্ধ এবং সবদিকে দিয়ে উদভ্রান্ত ও দিশেহারা। সমাজের অসহায় নিরীহ মানুষের জীবনযাত্রার কোন নিশ্চয়তা নেই। সর্বত্রই একটা অস্থিরতা-অশান্তি। পৃথিবীটাকে দেখে মনে হয় এটা যেন একটা কসাই খানা। জীবনযুদ্ধে অবিরত সংগ্রামী মানুষের চাওয়া পাওয়ার শেষ লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটা আশ্রয় যেখানে থাকবে না কোনও দ্বন্দ্ব, সংঘাত বা কোন ভেদাভেদ। শুধু থাকবে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা। তাই মহাজ্ঞানীদের শিক্ষাদর্শনকে আঁকড়ে ধরে চলা আজ আমাদের বড় বেশি প্রয়োজন। তাৎপর্য এবং শিক্ষাদর্শ জগৎ কল্যাণের মূল দর্শন ও এ সংসারে চলার মূল্যবান রসদ। তাদের প্রদর্শিত পথ যদি আমরা সত্যি অনুসরণ করতে পারি তাহলে আমরা হয়তো সুস্থ ও সুন্দর সমাজ আশা করতে পারি। অবশ্য এ ব্যাপারে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে মহাপুরুষদের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আর তা-না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আরও গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার আশঙ্কা। এক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার কথা আসে। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়।
জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে হয় ‘আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম, প্রেম পেতে এসেছিলাম। সে প্রেম পেলাম না বলে আমি এই প্রেমহীন নীরস পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলাম।’ এই প্রেমহীন নীরস পৃথিবীতে মানুষের প্রতি মানুষের, সম্প্রদায়ের প্রতি সম্প্রদায়ের এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মধ্যে হয়তো একদিন প্রেমের বন্যা বয়ে যাবে। তারই প্রতীক্ষায় থাকতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
লেখক : সাংবাদিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ