বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্লাসে উপস্থিতির সংখ্যা কম থাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ১১তম ব্যাচের ৪ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তর ২য় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি। এদিকে লোক প্রশাসন-৫২৩ (গভর্ন্যান্স ইস্যুজ অ্যান্ড প্রবলেম ইন বাংলাদেশ) কোর্সের ইনকোর্সের সকল কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
রবিবার (৪মার্চ) দুপুর ১.৩০ টা থেকে বিকাল ৪.৩০ টা পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে বাকি শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষায় সুযোগ না পাওয়া চার শিক্ষার্থীরাদের উপস্থিতি যথাক্রমে ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ, ৩৫ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরীক্ষায় সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি ফাইনাল পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে সকল ধরনের ইনকোর্স শেষ হওয়ার নিয়ম থাকলেও এখনও তাদের ইনকোর্স বাকি রয়েছে। অন্যদিকে স্নাতকোত্তরে চার ক্রেডিটের কোর্সে ২৮ থেকে ৩৭ টি ক্লাস নেওয়ার নিয়ম থাকলেও ২০টি ক্লাস নিয়ে শেষ করে দেন কোর্সটি। অনেক শিক্ষকই সমপরিমাণ ক্লাস নেন না। ওই শিক্ষকও এর বাইরে যাননি। তবে ওই চার শিক্ষার্থীর দুইজন দাবি করছেন, আর একটি মাত্র ক্লাস নিলেই তাঁদের উপস্থিতির শর্ত পূরণ হয়ে যেত। তবে কোর্স শিক্ষক স্বল্প ক্লাস নিয়েই উপস্থিতির হিসেব করেছেন।
পরীক্ষায় সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা না দেওয়ার বিষয়ে বিভাগ থেকে কিছু জানানো হয়নি আমাদের। বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের একজনের মাধ্যমে আমাদের এক সহপাঠী জানতে পারে যে আমরা পরীক্ষা দিতে পারব না। এ বিষয়ে আমরা বিভাগের সাথে বার বার কথা বলার চেষ্টা করলে তারা একে অন্যের উপর দায় চাপান। সর্বশেষ একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ের পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বললে আমরা আশ্বস্ত হই। কিন্তু পরীক্ষার এক ঘন্টা আগে একাডেমিক মিটিংয়ের সিদ্ধান্তে জানানো হয় আমাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।
আরেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আমাদের উপস্থিতি সমস্যা যেই কোর্সে সেইটার ইনকোর্স বাকি এখনও। তবে ক্লাস প্রেজেন্টেশন আগামীকাল হবে যা নিয়মবহির্ভূত।
এদিকে চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ সপ্তাহ আগে ইনকোর্সের সকল বিষয় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুটি কোর্সের রেজাল্ট এখনো হাতে পাননি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান৷ বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, দুইটা কোর্সের ইনকোর্স রেজাল্ট এখনও আমার হাতে আসেনি। এছাড়া সকল কোর্স শিক্ষক জানিয়েছে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে তাদের কোর্সে কোন সমস্যা নেই।
এসব বিষয়ে কোর্স শিক্ষক ড. মো. রুহুল আমীন বলেন, এখানে আমার কোনো হাত নেই। একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত। আমি একক কোনো সিদ্ধান্ত দেইনি।
বিভাগের প্রধান ড. মোসা. শামছুন্নাহারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও খুদেবার্তা পঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে বিভাগীয় প্রধানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।