রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তার বাসভবন ও কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
কোথাও কোন লুকায়িত ডিভাইস আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে গত সোমবার এই তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলাকালে ইবি থানার ওসি আননূর জায়েদ বিপ্লব, এসআই রাজিব কুমার, গোয়েন্দা কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, প্রক্টর ড. শাহাদৎ হোসেন, এস্টেট অফিসের প্রধান শামছুল ইসলাম জোহা ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক ভিসির বাসভবন ও কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রোভিসি ও ট্রেজারারের অনুরোধে তাদের কার্যালয়েও তল্লাশি চালানো হয়।
ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে কোন কিছু পাওয়া যায় নি।
এদিকে গত সোমবার বিকেলে ‘আল বিদা’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে ভিসির আরও একটা অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেখানে ক্যাপশনে লেখা হয় ‘যোগ্য মেধাবী শিক্ষর্থীদের বাদ দিয়ে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগে এভাবেই টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন দুর্নীতির বরপুত্র সালাম।’ এর আগে পৃথক দুইটি আইডি থেকে ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ৫টি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিওতে চাকরির প্রশ্নের বিষয়ে কথোপকথন, চাকরির বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভিসিকে কথা বলতে শোনা যায়। সার্বিক বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমার সহধর্মীনি সহ একাধিক নামে ফেক আইডি খুলে সেখান থেকে একান্তই ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা সংযোজন-বিয়োজন করে সোস্যাল ও অন্যান্য মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। অথচ কথিত নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিতই হয়নি। পরীক্ষার ব্যাপারে কোন প্রশ্নপত্রই প্রনীত হয়নি। ইউজিসি প্রয়োজনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে। এমন কাল্পনিক প্রচারনায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।
এর আগে সকালে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয়ে ফের তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করে ‘অস্থায়ী চাকুরিজীবী পরিষদ’। এসময় আন্দোলনকারীরা ‘হই হই রই রই সালাম চোর গেলি কই’, ‘সালাম চোরের চামড়া তুলে নিবো আমরা’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায় সালাম চোরের ঠাই নাই’ ইত্যাদি সেøাগান দিতে থাকে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। তাদের অনেকেই সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। এসময় তারা ভিসির অপসারণ দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।