বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় খুলনার দুই সাংবাদিক বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তারা হচ্ছেন স্থানীয় দৈনিক সময়ের খবরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান। আজ সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খুলনার বিচারক কনিকা বিশ্বাস এ রায় প্রদান করেন।
আদালতের পিপি এড. সাজ্জাদ হোসেন জানান, মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ২০১৭ সালের ১৮ মে কর্মচারী নিয়োগে জটিলতা সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বোর্ড সভাপতি অতিরিক্ত সিএমএম পদত্যাগপত্র জমা দিলে ১৯ মে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেন মহানগর দায়রা জজ। এছাড়া সিএমএম আদালতে একটি চেকের মামলার রায়ের সংবাদ ২২মে একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই দুটি সংবাদকে মিথ্যা ও ভূল আখ্যা দিয়ে খুলনার (সিএমএম) আদালতের তৎকালীন বিচারক এমএলবি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ’র নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা বাদী হয়ে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৬৬ ধারায় ২০১৭ সালের ১৪ জুন খুলনার দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন (নং-২৪)।
মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র পরিদর্শক মোঃ আফাজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন (নং-৬২৪)। মোট ১২ জন স্বাক্ষীর ১২ জনই আদালতে তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। স্বাক্ষ্য প্রমানে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এই দুই সাংবাদিককে ট্রাইব্যুনাল অব্যহতি প্রদান করে।
এবিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের এ রায় যুগান্তকারী। সিএমএম আদালতের নির্দেশেই মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছিলো। এখানে সাংবাদিকদের সংবাদ যে সঠিক ছিলো সেটাই প্রমানিত হলো। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবী।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অচিন্ত কুমার বলেন, সংবাদপত্রের কাজ সত্য তুলে ধরা। যে সংবাদের কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো, সেটি অতি উৎসাহী হয়ে করা হয়েছিলো। এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন পিপি এম সাজ্জাদ হোসেন ও এপিপি রোকেয়া খানম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।