রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভর মৌসুমে হঠাৎ লবণের দরপতনে হতাশ লবণ চাষিরা। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন লবন চাষিরা। মৌসুমের শুরুতে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও চকরিয়াসহ উপকূলের লবণ চাষিরা। ভালো দাম পাচ্ছিলেন বলে হাসি ছিল সবার মুখে। কিন্তু হঠাৎ লবণের দরপতনে লবণ চাষিরা এখন হতাশ। সম্প্রতি প্রতিমণ লবণের বাজারদর কমে অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। এতে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন লবণ চাষিরা।
লবণ চাষিদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজির মাধ্যমে লবণের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। উৎপাদন ব্যয় বিবেচনা করে বাজারদর নির্ধারণ এবং লবণ খাতকে বাঁচাতে আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কক্সবাজারে বর্তমানে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ২৬১ টাকায়। যা মৌসুমের শুরুতে ছিল ৪৮০-৫২০ টাকা। চাষিরা বলছেন, সব উপকরণের দাম ও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে দাম অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় লবণ বিক্রি করে পুঁজিও উঠবে না তাদের।
টেকনাফের হালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেছেন, লবণ আমদানি না করলে চাষিরা খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবেন। না হলে মাঠের লবণ মাঠে পড়ে থাকবে। তবে উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় লবণের দাম নিম্নমুখী বলে মনে করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। বিসিক কক্সবাজার শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের চাষিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলে লবণ উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৫৪ হাজার টন। মাঠে মজুদ আছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টন। ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে মাঠ পর্যায়ে দাম কমেছে প্রায় সাড়ে ৩০০ টাকা। অথচ এর আগে ৮০ কেজি বস্তার লবণের দাম ছিল ৮০০ টাকা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশিয় লবণ খাত ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করেণ লবণচাষি কল্যাণ পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ায় লবণ উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু মিল মালিক বিদেশি লবণ আমদানিতে ব্যর্থ হয়ে সিন্ডিকেট করে চাষিদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা চাষিদের লবণ চাষে অনুৎসাহিত করে বিদেশি লবণের নির্ভরশীল করার যড়যন্ত্রে লিপ্ত।
লবণ চাষিদের তথ্য মতে, একজন চাষির প্রতি মণ লবণ উৎপাদনে ব্যয় হয় ৩১৭ টাকা। লবণের দাম মণপ্রতি ২৬১ টাকায় নেমে আসায় ৫৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার ও বাঁশখালীর কিছু অংশ নিয়ে প্রায় ৫৭ হাজার ২৭০ একর জমিতে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ লবণ চাষে জড়িত। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এ অঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষ। বাজারে এমন দরপতনের ফলে এসব মানুষের আয়ে টান পড়বে। এটি একদিকে অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে আমদানী নির্ভর হয়ে পড়বে দেশের স্বনির্ভর লবণ খাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।