রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে মাটি খেকোদের হিংস্র চোবলে ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উর্বর তিন ফসলি জমি। জমির মালিকরা টাকার লোভে ফাঁদে পড়ে ফসলি জমির উর্বর মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এসব মাটি চলে যাচ্ছে বসতবাড়ি, ইটভাটা, পুকুর ভরাট ও ডোবা নালায়। এসকল জমিগুলো জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। ভুক্তভোগিরা বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাঠ থেকে আমন ফসল উঠার পরপর জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়। এ মাটি মিনিড্রাম ট্রাক ও ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হয় ইটভাটা, পুকুর ও ডোবা নালা ভরাটের জন্য।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী, চরহাজারী, চরকাঁকড়া, চরফকিরা, রামপুর, মুছাপুর ও চরএলাহী ইউনিয়ন এছাড়া কবিরহাট উপজেলার, ধানশালিক, ধানসিঁড়ি, সুন্দুলপুর, ঘোষবাগ ও বাটইয়া ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ফসলি জমি কাটার ধুম পড়ে গেছে। এভাবে প্রতিদিন ইস্কেভেটর দিয়ে এ মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় প্রশাসন মাটি খোরদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার পরও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়াভাবে চলছে মাটি কাটার ধুম। মাটি খেকোরা কৃষি জমির মালিকদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। দিন রাত ড্রাম ট্রাক ও টলি দিয়ে মাটি বহনের কারণে গ্রামীণ কাঁচা ও ফাঁকা সড়কগুলো দেকে ধসে ও ভেঙে যাচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার নির্মিত কালভাট, সেতু ও রাস্তা। ক্ষতির কথা না ভেবে জমির মালিকরাও লোভে পড়ে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। এভাবে মাটি কাটার ফলে গত কয়েক বছর শত শত বিঘা অনাবাদি হয়ে বন্ধ জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। সম্পত্তি কোম্পানীগঞ্জ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাটি ব্যবসায়ী সোহাগ, মাসুদ, মামুন, ডালিম, ডাকের, জাহাঙ্গীর, আশ্রাফ মিয়া ড্রাম ট্রাক ও টলি দিয়ে গর্ত করে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি কাটছে।
এ ব্যাপারে মাটি ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, আমরা জমিন মালিকদের কাছ থেকে মাটি কিনে অন্যত্র বিক্রি করি। এটা কি আমাদের অপরাধ?
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা মাটি কাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অপরদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেছবাউল আলম ভূঞা বলেন, যারা কৃষি জমি ধ্বংস করছে, ইতোমধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। আমরা মাটি কাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিচ্ছি। অচিরে মাটি কাটা বন্ধ হয়ে যাবে। এ মাটি কাটা বন্ধে জনসম্পৃক্তরা প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।