প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় ফেঁসে গেছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। ওই মামলায় আদালতে বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, সুকেশ চন্দ্রশেখর আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমার ইমোশন নিয়ে খেলেছে। কিন্তু সম্প্রতি সুকেশ চন্দ্রশেখরকে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজির করা হলে তিনি জ্যাকুলিনকে বাঁচানোর কথা জানান।
আদালতের সামনে সুকেশ বললেন, ‘জ্যাকলিন এই মামলার অংশ নয়, ওর কোনও চিন্তা নেই। আমি ওকে বাঁচানোর জন্যই এখানে আছি।’
এর আগে জ্যাকুলিন দাবি করেছিলেন সুকেশ তাকে ব্যবহার করেছেন। সে সময় সংবাদকর্মীদের এ প্রসঙ্গে সুকেশ বলেছিলেন, ‘আমি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ওর কাছে নিজস্ব যুক্তি আছে। আমি জ্যাকলিনের সম্পর্কে কোনও কথাই বলব না। তবে এটুকুই বলব যে, আমি তাকে ভালবাসি, তাই তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার।’
সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে অনেকদিন ধরে ভারতীয় পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন জ্যাকুলিন। অর্থ আত্মসাতের মামলার অভিযোগ পত্রে নামও ওঠে তার। বেশ কয়েকবার প্রশাসনের জেরার মুখে পড়তে হয় তাকে। এ তারকার বিদেশ যাত্রার ওপরও জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা।
গত বছরের আগস্টে জ্যাকুলিনের নামে অভিযোগ দাখিল করে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেসময় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এই তারকা। ইডির তদন্ত পদ্ধতিকে ভুয়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে দিল্লীর একটি আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সেসময় তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছিল।
তবে যত যাই হোক, জ্যাকুলিনের সঙ্গে সুকেশের নাম জড়িয়ে গেছে ভালোভাবেই। তাদের দহরম মহরমের গল্প এখন টক অব দ্য কান্ট্রি । ধনকুবের বন্ধুটির থেকে মাঝে মাঝেই তিনি মহামূল্যবান উপহার পেতেন। এছাড়া ভ্রমণের জন্য সুকেশের ব্যক্তিগত বিমানও ব্যবহার করতেন তিনি। এসব এখনও বি-টাউনের চর্চিত বিষয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।