প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ। সম্প্রতি জি ফাইভের সিরিজ ‘তাজ: ডিভাইডেড বাই ব্লাড’-এ সম্রাট আকবরের ভূমিকায় কাজ করেছেন তিনি। যেখানে থাকবে মুঘল সাম্রাজ্যের ভেতরে ঘটা না জানা নানা কথা, ইতিহাস। সম্প্রতি সিরিজটির প্রচারণায় মোঘল সাম্রাজ্য নিয়ে কথা বলে নাসিরউদ্দিন। ভারতের চলমান অবস্থায় ক্ষুব্ধ নাসিরউদ্দিনের দাবি, ‘মুঘলরা যদি সব কিছুই খারাপ করে থাকেন, তা হলে তাজমহল, রেড ফোর্টের মতো সৌধগুলি ভেঙে ফেলা হোক।’ তার মতে, মুঘলদের মহিমান্বিত করার কথা হচ্ছে না, কিন্তু তাদের অপমান করাও উচিত নয়।
বলা যায় এদিন কট্টরবাদী হিন্দুদের উন্নাসিকতাকে প্রশ্নবাণে ধুয়ে দিলেন পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মানপ্রাপ্ত ভারতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক, এ দেশের ইতিহাসে মোগলদের গৌরবান্বিত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের মাথায় তুলে নাচার যেমন প্রয়োজন নেই, তেমনি তাদের খলনায়ক বানানোরও দরকার নেই।’
মোগলদের নামে রাখা দেশের বিভিন্ন শহর, নগর, জনপদ, রাস্তার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি তার কাছে বিনোদনের খোরাক জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের ইতিহাসে মোগল ও ব্রিটিশদের গৌরবান্বিত করা হয়েছে, এটা ঠিক। এর একটা কারণ, এ ইতিহাস প্রধানত ইংরেজদের লেখা। স্কুলের ইতিহাস বলতে আমরা প্রধানত মোগল ও ব্রিটিশদের কাহিনিই পড়ে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা লর্ড হার্ডিঞ্জ, লর্ড কর্নওয়ালিসদের কথা জেনেছি। মোগল সম্রাটদের কথা পড়েছি। কিন্তু সেভাবে গুপ্ত, মৌর্য, বিজয়নগর সাম্রাজ্যের কাহিনি পড়িনি। অজন্তা গুহাচিত্র বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলকেও জানিনি। এটা অন্যায়।’
ইতিহাস নতুনভাবে দেশীয় দৃষ্টিতে লেখার অবশ্যই প্রয়োজন আছে জানিয়ে প্রবীণ এ অভিনেতা বলেন, ‘কিন্তু তাই বলে এটা মনে করারও কোনো কারণ নেই, মোগলরা এ দেশে এসেছিল স্রেফ লুট করতে।’ নাসিরউদ্দিন শাহ আরও বলেন, ‘মোগলরা লুটেরা নয়। তারা এ দেশকে নিজেদের বলে ভেবেছিল। এ দেশে তাদের অবদানও তাই প্রচুর।’
তিনি বলেন, ‘এটা ভেবে আমার খুব অবাক লাগে, হাস্যকরও লাগে, যখন দেখি লোকে আকবর ও জঘন্য খুনি নাদির শাহর তফাৎ বোঝে না! অথবা আকবরের সঙ্গে বাবরের প্রপিতামহ তৈমুরের পার্থক্য জানে না!’
'তাজ–ডিভাইডেড বাই ব্লাড' সিরিজটির পরিচালক রাহুল বোস। নাসিরুদ্দিন শাহ ছাড়াও সিরিজটিতে শেহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসিম গুলাটি। তাহা শাহ রয়েছেন শেহজাদা মুরাদের ভূমিকায়। অন্যদিকে অদিতি রাও হায়দারিকে দেখা যাবে আনারকলি হিসাবে। ধর্মেন্দ্র থাকছেন সেলিম চিস্তির ভূমিকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।