বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, আওয়ামীলীগ মিথ্যা কথায় পারদর্শী। আওয়ামীলীগের নিশিরাতের এক মন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের সাথে তুলনা করেন, এই একই ব্যাক্তি নিজেই বলছেন ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে ভারতের কাছে ধর্না দিয়েছেন। এই দেশ শান্তিপ্রিয় দেশ, এখানে কোন উষ্কানিতে কাজ হবে না। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে ভয়াবহ লুটপাট করা হয়েছে। তাই দেশে বাঁচাতে হলে এই লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার বিকল্প নেই।
আজ শনিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ-গ্যাস-নিত্যপণ্যের মূল্য কমানো, দমন নিপীড়ন বন্ধ করা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবীতে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির সূচনালগ্নে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।তিনি।
তিনি আরো বলেন, যেনদিন চুড়ান্ত আন্দোলনের ডাক আসবে সেদিন ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে এই সরকারে পতন ঘটানো হবে। সিলেটবাসী অতিতের মত বিএনপির সাথে আছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় কর্মসূচির শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা উলামা দলের আহবায়ক মাওলানা নুরুল হক। সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, একদিকে ভয়াবহ লোডশোডিং অন্যদিকে বার বার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, দফায় দফায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশবাসী চরম বিপাকে পড়েছে। রিজার্ভ সংকটের কারনে পণ্য আমদানী করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের লাগামহীন লুটপাটের কারনেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই লুটেরা সরকারকে অভিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। অন্যতায় দেশের জনগন ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামলে পালানোর রাস্তাও খোঁজে পাবে না। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে জনসমর্থন দেখে আওয়ামীলীগ দিশেহারা হয়ে গেছে। এখন বিএনপির কর্মসূচির দিনে তারাও কর্মসূচি দেয়। কিন্তু মানুষ তাদের কর্মসূচিতে যায়না। কারন তারা জনগনের পক্ষের শক্তি নয়। মানুষ বিএনপির কর্মসূচিতে শতষ্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করে। তাই জনগনকে সাথে নিয়েই চুড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।
অন্যদের বক্তব্য প্রদান করেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু), সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।