পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে আইনের শাসন নেই বিধায় ভাল মানুষ সন্তানকে বিদেশে পাঠাচ্ছে বলে মন্তব্য কেেছন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের ধারণা আইন নিজের গতিতে চলতে পারছে না। ভালো মানুষ সমাজে টিকতে পারছে না। ভালো মানুষেরা সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চেষ্টা করছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে আবেদন করেছে। সাধারণ মানুষ নিজ দেশকে নিরাপদ মনে করছে না। আইন-শৃখলা রক্ষা বাহিনীকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। বৈষম্যহীন ও ন্যায় বিচার ভিত্তিক একটি সমাজ গঠন হয়নি। গতকাল শুক্রবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জিএম কাদেরের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি কাদের বলেন, এখনো দেশের মানুষের সাথে রাজনৈতিকভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা দল করে তাদের অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। সরকারি দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতারা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। তাদের দেশে টাকা রাখার জায়গা নেই, তারা বিদেশে টাকা পাচার করছে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের চাঁদাবাজী থেকে ভিক্ষুকও রেহাই পায় না।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কোন দলের জন্য কাজ করছি না। আমরা দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করছি। দেশের মানুষ যদি দেখে আমরা তাদের স্বার্থে কাজ করছি, তারা অবশ্যই আমাদের সমর্থন দেবে। দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আমরা রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ যেন মানসম্মান ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত না হয়। জাতীয় পার্টি একত্রিত আছে, ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে। সকল পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, মুক্তি সংগ্রামে বিজয়ের জন্য দেশের মানুষ তাকিয়ে আছেন। জাতীয় পার্টি স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়ন করতেই রাজনীতি করছে। নিজের একটি দেশ মানে প্রজাতন্ত্র, প্রজারাই দেশের মালিক। দেশের মালিকরাই প্রতিনিধি ঠিক করবেন-কারা দেশ পরিচালনা করবে। আবার সাধারণ মানুষের ইচ্ছেমত দেশ চালাতে ব্যর্থ হলে তারা আবার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করবেন। এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্র, এটাই প্রকৃত গণতন্ত্র। এজন্যই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো।
এ সম্য অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, নাজমা আখতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।