বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে র্যাগিংকে নিষিদ্ধ করার পরেও প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদেরকে র্যাগিং করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৫ শিক্ষার্থী। বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটি নিয়ে কাজ করছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে যে এদের কয়েকজন এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিলে পরবর্তী সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে ভুক্তভোগী ও বহিষ্কৃত সকলেই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার। তিনি বলেন, ৯ জন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং করা হয়েছে। তাদের ভিতরে একজন অভিযোগ করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবাই আমার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী। অভিযুক্তদের ভিতরে শাহপরাণ হল, বঙ্গবন্ধু হল, মুজতবা আলী এবং বিভিন্ন মেসের (শিক্ষার্থী) আছে। মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদেরকে র্যাগিংয়ের দায়ে একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ৫ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রদের আবাসিক সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ১১১ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে প্রক্টর কামরুজ্জামান খান নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তদন্ত কমিটিতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক খায়রুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মনিরুজ্জামান খান, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট ড. আবু সায়েদ আরফিন খান ও সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য এবং সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট আবু সাঈদ আরেফিন খান বলেন, আমার হলে এমন একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমরা ইনিশিয়ালি ওদেরকে ডেকেছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত আমরা এরকম সত্যতা আমরা পাচ্ছিনা। আগামীকাল আমরা আবার বসবো। যাদেরকে র্যাগিং করা হয়েছে তারা কেউই আমার হলের শিক্ষার্থী না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।