প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী বেলা বসু মারা গেছেন। গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুম্বাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯। প্রায় এক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বেলা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই চিরবিদায় নিলেন তিনি।
অভিনেত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাছের মানুষ, আত্মীয়-পরিজনেরা। তবে তার শেষকৃত্যে বলিউড থেকে হাজির থাকেননি কোনও নামজাদা তারকা। দেখা যায়নি ক্যামেরার ভিড়ও।
না, এই বেলা অঞ্জন দত্তের ফিকশনাল চরিত্র নন, স্বর্ণযুগের এই অভিনেত্রী কাজ করেছেন অন্তত ২০০-র বেশি হিন্দি সিনেমাতে। মণিপুরী নৃত্যে তার ছিল অসম্ভব দক্ষতা। তার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমাগুলির মধ্যে রয়েছে ‘জিনে কি রাখ’, ‘শিখর’, ‘জয় সন্তোষী মা’সহ অন্যান্য। তার সময়ে হেলেন ও অরুণা ইরানির মতো বেলা বোসের নৃত্যশৈলীও ছিল দর্শকদের বড়ই প্রিয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৩ সালে ১৮ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বেলা বসু। তার বাবা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ছোটবেলায় আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে সপরিবারে মুম্বাই পাড়ি দেন অভিনেত্রী। বাবার মৃত্যুর পর মাত্র ১৭ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন তিনি। পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে সিনেমায় গ্রুপ ড্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন। নাচের দক্ষতার কারণে পরিচালক নরেশ সায়গলের চোখে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে সেই নির্মাতা বেলাকে ‘ম্যায় নেশা মে হুঁ’ সিনেমায় সোলো ড্যান্সার হিসেবে সুযোগ দেন।
এরপর ১৯৬৪ সালে চন্দ্র শেখর পরিচালিত বিখ্যাত সিনেমা ‘চা চা চা’-তে হেলেনের বড় বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন বেলা। এরপরই পরিচালক আশিস কুমারকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর তাকে আর সে ভাবে পর্দায় দেখা যায়নি। ব্যস্ত হয়ে পড়েন সংসার নিয়ে। তার ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। তারা মায়ের মতো কেউই অভিনয় জগতে পা রাখেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।