Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নোয়াখালীতে হেলে পড়েছে চারতলা ভবন

আতঙ্কে এলাকাবাসী

নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ একলাশপুর বাজারে নির্মাণাধীন ভবনের দিকে হেলে পড়েছে ‘রাশিয়ান প্লাজা’ নামে একটি চারতলা ভবন। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নির্মাণাধীন ভবন মালিক শেখ শহিদুল ইসলামের দাবি, পাশের মালিকরা বিল্ডিংকোড না মেনে ভবন নির্মাণে অপরিকল্পিত মাটি খননের ফলে তার ভবনটি হেলে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একলাশপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শেখ মোবারক আলীর ছেলে রাশিয়া প্রবাসী শেখ শহিদুল ইসলাম ২০০২ সালে ৬ শতাংশ জমির ওপর চারতলা ভবন নির্মাণ করেন। একই জায়গায় তার বড়ভাই মো. নুরনবী বাবরের কাছ থেকে ৫ শতাংশ জমি কিনে মহিন উদ্দিন ও ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী সাহিদা বেগম গত বছর বহুতল একটি ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একলাশপুর বাজারের পশ্চিম দিকের সড়ক সংলগ্ন রাশিয়ান প্লাজা ভবনটি। গত বছরের ডিসেম্বর এ ভবনের পশ্চিম পাশ ঘেঁষেই তৈরি হচ্ছে মহিন উদ্দিনদের নতুন ভবন। কয়েকদিনের দিনের মধ্যে রাশিয়ান প্লাজা ভবনটি পশ্চিম দিকে নির্মাণাধীন ভবনের দিকে হেলে পড়েছে। ভবনের নীচতলার বেশ কয়েকটি দোকান বন্ধ রয়েছে। ভবনের ১২টি ফ্ল্যাটের মধ্যে মালিকরা ছাড়া বাকি ফ্ল্যাটগুলো খালি পড়ে আছে।
ভবন মালিক শেখ শহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, পশ্চিম পাশে এক শতাংশ জমি ফাঁকা রেখে ভবন নির্মাণ করি। পাশের ভবনের মালিকরা ফাঁকা জায়গা দখলে নিয়ে ভবনের পাশ ঘেঁষে গভীরভাবে মাটি খননে আমার ভবনটি হেলে পড়েছে। ফলে আমার ১১জন ভাড়াটিয়া বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এ জন্য দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।
অভিযুক্ত মো. মহিন উদ্দিন বলেন, আমি ও মো. ইসমাইল জমি কিনে যৌথভাবে ভবন নির্মাণ করছি। চুক্তির কপি আদালতে উপস্থাপন করেছি। সেটি ভুয়া হলে আদালতে প্রমাণ হবে। আমরা জমি কিনে ভবন করছি।
এদিকে ভবনটি হেলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব। এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি ইনকিলাবকে বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ অনেকদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ