প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গত বছর ৪ ডিসেম্বর দীর্ঘদিনের প্রেমিক সোহেল কাঠুরিয়াকে বিবাহ করেন অভিনেত্রী হংসিকা মোতওয়ানি। রাজস্থানের জয়পুর মুন্ডোটা ফোর্টে তাঁরা সাতপাকে বাঁধা পড়েন। গতবছর নভেম্বরে বিয়ের কথা প্রথম সামনে আনেন অভিনেত্রী। পারিবারিক ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের সান্নিধ্যে চারহাত এক হয় তাঁদের। হংসিকার প্রথম বিয়ে হলেও সোহেলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পরেই অভিনেত্রীকে নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয় নেটপাড়ায়। যখন সোহেলের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের একটি ক্লিপ রিয়েলিটি শোয়ে দেখানো হয়। অনেকের দাবি, সোহেল যেহেতু হংসিকার বান্ধবী রিঙ্কির স্বামী ছিলেন, তাই তিনি বান্ধবীর ঘর ভেঙে সোহেলকে বিয়ে করেন। অর্থাৎ তাঁদের সোহেলের প্রথম সংসার ভাঙ্গার পেছনে দায়ী করেছেন হংসিকাকেই। তবে এতকিছুর পরেও এতদিন চুপ ছিলেন হংসিকা। তবে আর নয়, সম্প্রতি এ সকল সমালোচনার প্রেক্ষিতে নীরবতা ভাঙলেন হংসিকা। অভিযাত্রী তাঁর ব্যক্তিগত বিয়ের মুহূর্তগুলিকে একটি রিয়েলিটি শোয়ের জন্য চিত্রায়িত করে নিয়েছিলেন। একটি নতুন সাক্ষাৎকারে, হংসিকা বলেন, সমালোচনা তাঁর কাছে ‘কোনও ব্যাপার নয়’। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হংসিকা ট্রোলারদের উদ্দেশে বলেন, তাদের কথা বলতে দিন। এটা আমার কোন ব্যাপার না। এটি বৈধ বাস্তবতা। অভিনেত্রী আরও বলেন, তিনি ২৪ বছর বয়সেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন কিন্তু কাজের কারণে পারেননি। বিয়ে করার জন্যও আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না। কিন্তু সোহেল নিজেই ধৈর্য্য হারিয়ে আমাকে বলে, এখন আমাদের বিয়ে করা উচিত। তখনই তিনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, সোহেল এর আগে হংসিকার বন্ধু রিঙ্কিকে বিয়ে করেন, তখনও হংসিকা তাঁদের বিয়েতে অংশ নিয়েছিল। হংসিকা শোতে বলেছিলেন, যেহেতু আমি সেই সময় রিঙ্কির বর হিসেবে সোহেলকে চিনতাম তার মানে এই নয় যে, এটি আমার দোষ ছিল। আমি যেহেতু একজন পাবলিক ফিগার, তাই আমার দিকে আঙুল তোলা খুব সহজ ছিল। আমাকে খলনায়ক বানাও। একজন সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য আমি এই মূল্য দিতে পারি। হংসিকার লাভ শাদি ড্রামা প্রতি শুক্রবার ডিজনি+ হটস্টারে প্রচারিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।