বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে সংঘর্ষে জড়ায় এই দুই গ্রুপ।
জানা গেছে, শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের অনুসারীরা ‘ব্রাদার্স’ ও ‘মকু’ নামক দুটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে ‘ব্রাদার্স’ পক্ষটি আলাওল হল ও এ এফ রহমান হলে এবং অপরপক্ষ 'মকু' সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত।
এদিন রাত ১২টার পর একুশের প্রথম প্রহরে ব্রাদার্সের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে মকুর নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে প্রায় ২০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চবি মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত কর্মকর্তা দেলোয়ার জানান, ১১ জন খাতায় নাম লিখেছেন। কিন্তু প্রায় ২০ জনের মতো এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছে। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের একটা কিংবা দুইটা করে সেলাই লেগেছে। এর মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজেও (সিএমসি) পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া বাকিদের মধ্যে কেউ হাত, পা, চেহারা, রান ও গোড়ালি ইত্যাদিতে ইট-পাথরের আঘাত পেয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই চিকিৎসা নিয়ে নিয়ে ফিরে গেছেন।’
মকুর নেতা মোহাম্মদ দেলোয়ার বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আলাওল হলে থাকা আমাদের কিছু কর্মীকে তারা বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আজকে রাতে আমরা আলাওল হলের দিকে যেতে চাইলে তারা আমাদের ধাওয়া করে।’
অপরদিকে ব্রাদার্সের একাধিক নেতাকর্মী জানান, একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
তবে পক্ষ দুটির সংঘর্ষ ঘণ্টা পেরোলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আর কাউকে দেখা যায়নি। ফলে দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলতে থাকে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তারা এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করে এবং আক্রমণ করেছে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা সেখানে ভোর ৪টা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলাম।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।