Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাকের পার্টি ছাড়া কেউ ক্ষমতায়ও আসতে পারবেনা -শেরপুরে মোস্তফা আমীর ফয়সল

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:২৭ এএম

শেরপুরের পাকুরিয়ায় হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী’র মহা পবিত্র বিশ্ব ওরশ শরীফ আজ সকালে শেষ হয়েছে। খাজাবাবার রওজা শরীফ জিয়ারত ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে চারদিন ব্যাপী এ ওরশ শরীফের সমাপ্তি হয়।
এর আগে গতকাল রাতে দেশ জাতি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বায়ান করেন বিশ্ব ওলী কেবলাজান ছাহেবের মহান আধ্যাত্বিক উত্তরাধিকারি এবং জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড: সায়েম আমীর ফয়সল ও মহাসচিব শামীম হায়দার।
এসময় প্রধান অতিথি জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেন, জাকের পার্টি ছাড়া কেউ ক্ষমতায়ও আসতে পারবেনা, আর আন্দোলন করেও সফল হবে না।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশেও ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক সঙ্কট আছে। তবে বর্তমান সরকারের দক্ষ পরিচালনায় আমাদের দেশের অর্তনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভালো রয়েছে। তাই আমরা চাই আরো কিছুদিন এ সরকার ক্ষমতায় থাকুক। আমরা ভালোকে ভালো, আর মন্দকে মন্দ বলবোই। আগামীতে আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রকট হবে। সেদিন বেশী দূরে নেই। মাত্র দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে জাকের পার্টির হাতে ক্ষমতা দিতে বাধ্য হবে। আমরাই ক্ষমতায় আসবো ইনশাল্লাহ। তিনি তার ভক্তদের গ্রামে গ্রামে, বাড়ী বাড়ী গিয়ে জাকের পার্টির কথা প্রচার করার আহ্বান জানান।
জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড: সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, আমার মরহুম দাদা আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ সবসময় আপানাদের জন্য ইহকালীন ও পরকালের সুখের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি মৃত্যুর আগে বলে গেছেন জাকের পার্টিই তার সবচেয়ে বড় সৃষ্টি।
জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, এবার আমাদের এ ওরশ শরীফে সারা দেশ থেকে অন্তত দশ লক্ষাধিক ভক্ত ও সর্বসাধারণ অংশ গ্রহণ করেছে। অনেক কষ্ট করে সাবাই এ মহাসামবেশে এসেছেন, আজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
গত শনিবার এ ওরশ শরীফ শুরু হয়েছিল। এতে সারা দেশ থেকে লাখো জনতা তাদের আধ্যাত্মিক মহা পুরুষের আশির্বাদ নেয়ার জন্য জড়ো হয়েছিলো।

প্রসঙ্গত, খাজায়ে খাজেগান খাজা এনায়েতপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব তার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারকে নিজ সান্নিধ্যে নিতে ততকালীন বৃটিশ আমলে বিশ্বওলী কেবলাজান ছাহেবের এই পাকুরিয়ার বাড়ীতে তশরীফ রেখেছিলেন। তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর। আপন মুর্শিদ তাকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর দরবার শরীফে
নিয়ে যাওয়ার পরে একটানা সুদীর্ঘ ৪০ বছর সর্বস্ব উজাড় করে দৃষ্টান্ত বিরল ত্যাগ, তিতিক্ষা সঙ্গী করে আপন মুর্শিদের সুকঠিন খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ