বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনাজপুরের হাকিমপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মেফতাহুল জান্নাত মেফতাকে পিটালেন গ্রাম পুলিশ সুদীপ চন্দ্র।
গতকাল রোববার, ২ নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের কাকড়াবালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমান ওই চেয়ারম্যান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়ার জানান,বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদে সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মেফতাহুল জান্নাত মেফতার ২ বিঘা জমি নিয়ে বর্গা চাষ করে আসছেন গ্রাম পুলিশ (দফাদার) সুদীপ চন্দ্র।
২ বিঘার পরিবর্তে গোপনে সে পৌনে ৩ বিঘা জমি চাষাবাদ করছেন। চেয়ারম্যান সঠিক ভাবে জমি মাপার জন্য আমিন নিয়ে জমিতে আসেন এবং তাকে ডেকে আনেন। জমি মাপ দিয়ে দেখা যায়,পৌনে দুই বিঘার পরিবর্তে পৌনে তিন বিঘা ফসলি জমি ভোগ দখল করে আসছে গ্রাম পুলিশ সুদীপ চন্দ্র। মাপ যোগের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে তাদের মাধ্য এই বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে গ্রাম পুলিশ চেয়ারম্যান মেফতাকে কিলঘুষি মেরে ধাক্কা দিয়ে চেয়ারম্যানকে সরিষা ক্ষেতে ফেলে দেয়। এতে চেয়ারম্যানের চোখে এবং মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় চেয়ারম্যানকে উদ্ধার হাকিমপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেফতাহুল জান্নাত মেফতা জানান,সুদীপ চন্দ্র আমার ছোট ভাইয়ের পৌনে দুই বিঘা এবং আমার এক বিঘা জমি ভোগ দখল করে আসছে। তবে তাকে পৌনে দুই বিঘা আবাদি জমি দেওয়া হয়েছে। বাঁকি জমি কেন সে গোপনে দখল করে আসছে এইজন্য তাকে ডেকে জানতে চেয়েছি। এই কারণে তার সাথে আমার বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সে আমাকে আঘাত করতে থাকে। আমি এ বিষয়ে থানার ওসিকে মৌখিক জানিয়েছি। সুস্থ হয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করবো।
গ্রাম পুলিশ সুদীপ চন্দ্র বলেন, আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে মারধর করিনি।একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে,এতেই তিনি সরিষার ক্ষেতে পড়ে আহত হন।
বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম জানান,ঘটনাটি খুবি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি জেনেছি এবং আমার ওই গ্রামপুলিশকে মৌখিক শাসন করেছি। সে একজন সাবেক চেয়ারম্যান তার গায়ে আঘাত করা মোটেও ঠিক হয়নি। আমার কাছে বিচার চাইলে আমি এর সঠিক বিচার করবো।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সায়েম মিয়া বলেন,বিষয়টি আমি এখনও অবগত হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।