Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গাজীপুরে একাধিক অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলেও হয়রানি থামেনিঃ আতংকে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা

গাজীপুর থেকে স্টাফ রিপোটার | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:২৫ পিএম

গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার দায়ের করা একাধিক সংস্থায় বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও হয়রানি ও ষড়যন্ত্র থামেনি বলে এর প্রতিকার চেয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও গাজীপুর পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন কাঁচামাল আড়ৎদাড় মালিক গ্রুপের সভাপতি আব্দুস সোবহান।

ওই আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে নুরুল হকের নিকট থেকে গাজীপুর জেলার তৎকালীন জয়দেবপুর থানা দিন বর্তমানে জিএমপি বাসন থানাধীন আউটপাড়া মৌজাস্থিত চান্দনা চৌরাস্তা হক মার্কেটের সিএস ও এসএ ১৩৭,১৩৮ এবং আর এস ১৫৫ ও ১৫৬ নং
দাগের খাতে ৭২.৫০ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে এবং মার্কেট সংস্কার করে বৈধভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসিতেছে গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদাড় মালিক গ্রুপ।
উক্ত জমিতে বৈধভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাকালে গত ১০/৩/২০১৬ সালে নুরুল হক স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে উল্লেখিত ৭২.৫০ শতাংশ জমিসহ জমিতে নির্মিত মার্কেটে সর্বময় ক্ষমতা তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাহনাজ পারভীন এর নামে লিখে দেয়। নুরুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে উল্লেখিত জমি লিখে দেয়ার পর গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদাড় মালিক গ্রুপের ৫০৭ জন সদস্য শাহনাজ বেগমের সাথে এক চুক্তিবদ্ধে আবদ্ধ হন এবং মাসিক ভাড়ায় ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসছেন।

শাহনাজ পারভীনের সাথে কাঁচামাল আড়ৎদাড় মালিক গ্রুপের সদস্যরা চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে নুরুল হক বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন সংস্থায় দেয়া একাধিক অভিযোগ এরই মধ্যে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তারপরেও নুরুল হক বিভিন্ন সংস্থায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া অব্যাহত রেখেছে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও গাজীপুর পুলিশ কমিশনার বরাবর দেয়া অভিযোগে আব্দুস সুবহান আরো উল্লেখ করেন যে, নুরুল হক জামায়াতে ইসলাম এর একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে গাড়ি ভাংচুর অগ্নিসংযোগ মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে। সে অর্থ জারি মোকাদ্দামা নং ১২৯৯/১৯ এর রায়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। নুরুল হকের বিরুদ্ধে গাজীপুর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মোকাদ্দমা রয়েছে যার নং ১/২০১৫ ইং। নুরুল হক তার সহযোগী তারিফ মাহমুদ সহ আরো ৪/৫জন অজ্ঞাতনামা আসামি অন্যায় ভাবে মার্কেট থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে।

গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদাড় গ্রুপের সদস্যদের উচ্ছেদ করার জন্য নুরুল হক গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন যার নং ৬২৭/২০২২ ইং তারিখ ২২/৫/২০২২ ইং ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩০৭/৩২৩/৩৮৫/৪২৭/৫০৬ দায়েরের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উল্লেখিত সিআর মামলাটি পিবিআই এর তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
এর আগে নুরুল হক কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগ বাসন থানা পুলিশের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। যার প্রতিবেদন গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা পুলিশ গত ২৪/৯/২০২২ ইং তারিখে ৫৭৮৯ নং স্বারকে পুলিশ কমিশনার বরাবর দাখিল করেন।

একাধিক মামলা ও অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর ও নুরুল হক বিভিন্ন সংস্থায় হয়রানিমূলক অভিযোগ দিয়েই আসছেন। এর ফলে গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদাড় মালিক গ্রুপের সদস্যরা হয়রানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নুরুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একটি সূত্র জানায় এক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ