বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী : চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় প্রথম বারের মতো আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আম বয়ানের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হবে। উপজেলা সদর থেকে ৩ কি.মি.উত্তরে মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় এই ইজতেমায় প্রতিদিন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে টানা দুই মাস ধরে ইজতেমার বিশাল প্যান্ডেলের কাজসহ সকল প্রকার কাজ সম্পন্ন করেছে। চট্টগ্রাম নাজিরহাট মহাসড়কের পূর্বে চারিয়া এলাকার ১৩১ একর কৃষি জমিতে এই প্রথম চট্টগ্রাম জেলার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত দুইদিন থেকে মুসল্লিরা পৃথক পৃথক জামাতবন্দি হয়ে ইজতেমায় আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে সৌদি আরব, চীন, সুইডেন, ইন্দোনেশিয়া, জর্দান, মিশর, আলজেরিয়া, দুবাই, কাতারসহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা ইজতেমায় উপস্থিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্বের একশ’টি দেশ থেকে বিদেশী মেহমানরা শরিক হবেন বলে জানা যায়। ইজতেমার মূল সমন্বয়ক মুফতি জসীম উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইজতেমায় এখানে ওলামায়ে কেরামগণসহ লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটবে। এই ইজতেমায় মন্ত্রী, বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সচিব ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ভিআইপিও বিভিন্ন দলের রাজনীতিক নেতাসহ দেশী বিদেশী অনেক অতিথি এখানকার ইজতেমায় অংশ নেবে। আয়োজক কমিটির সহযোগিতায় ইজতেমায় আগতদের থাকা খাওয়া, যোগাযোগ, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা, বিদ্যুৎ ও সেনিটেশন ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। উক্ত এলাকার কয়েকশত কৃষি জমিতে বিশাল প্যান্ডেল, টয়লেট, অযুখানা, গোসলের জন্য পানির হাউজ, খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ, বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশী মেহমানদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে আলাদা থাকার ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম জেলা ও হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন ইজতেমা উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইজতিমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্যান্ডেলের চর্তুদিকে প্রায় ১ হাজার ৬শ টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। পানির জন্য চতুর্পার্শ্বে ১০টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। ওজু ও গোসলের জন্য ১০টি পানির হাউজের কাজ ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে। প্যান্ডেলে বৈদ্যুতিক সংযোগের কাজও শেষ হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ্যাম্বুলেন্সসহ দুইটি সরকারি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সেখ ফজলে রাব্বি। অপরদিকে প্যান্ডেলের চারদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর পক্ষ থেকে চারটি ক্যাম্প করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।