প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চিত্রনায়ক শাকিব খানকে কেন্দ্র করে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। প্রায়ই পরোক্ষভাবে একে অপরকে বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকেন। তবে ইদানিং অপু বিশ্বাস বেশ কথা বলছেন। এ নিয়ে বুবলী বেশ চটেছেন। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ফেসবুকে দেয়া তার এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে। সেখানে অপুর কথা উল্লেখ না থাকলেও বুঝতে অসুবিধা হয় না তিনি তাকেই উদ্দেশ্য করে লিখেছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে অপু বিশ্বাসের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ব্যক্তিগত আইডিতে এই স্ট্যাটাস দেন তিনি। তিনি লিখেন, আমি একটি কথা ¯পষ্ট করে বলে দিতে চাই, কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ, আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি লিখেন, কিছুদিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদেরকে দিয়ে করায়, তাদের সমস্ত কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে; যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট। এসব নোংরামি পাত্তা দেওয়ার রুচি থাকে না বলেই এসব নিয়ে আমার কথা বলা হয় না। কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে, তাহলে তা হবে তাদের চরম ভুল। আশেপাশে হাজার কিছু হলেও দিনশেষে আমাকে নিয়েই এসব ব্যক্তির ব্যস্ততা। এদেরকে রেসপন্স করতেও রুচিতে বাঁধে।
আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনই দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি, গিরগিটির মত রং বদলাতে শেখায়নি, কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি, বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টক শোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মত হাসতে শেখায়নি, মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসামী শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি, কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি, বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি। তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারি না।
বুবলী লিখেন, আমি এসব না শিখতে পারার জন্য গর্বিত। কারণ এসব যে পারে, সে অনায়াসেই লিজেন্ড শাবানা ম্যামের মত এতো সিনিয়র ব্যক্তিত্ব নিয়ে অপমানজনক বেফাঁস মন্তব্য করে বসতে পারে। কঠোর পরিশ্রম করে নিজের মত এগিয়ে যাওয়া নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে অপমান করে কথা বলে মুখটাকে বিশ্রী করে ব্যঙ্গ করতে পারে, ভালো মনের মানুষ বর্ষা আপুকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলতে পারে, মাস্টারমেকার পরিচালক শ্রদ্ধেয় মালেক আফসারী স্যারকে নিয়ে অপমান করে কথা বলতে পারে যা কিনা রীতিমত তার পারিবারিক শিক্ষাকেই উপস্থাপন করে। এজন্যই বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়। তিনি লিখেন, কত বাজে নিচু মানসিকতার হলে সে একজন নিষ্পাপ বাচ্চাকেও কটুক্তি করতে ছাড়েনি। কিছুদিন আগে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে আমার সন্তানকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে বাঁদরের মত মুখ ভেংচি কেটে বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি। আমি মা হিসেবে ভালোবেসে আমার সন্তানকে নিয়ে কি করব বা আমার সন্তানের ভালোর জন্য কি করব- সেটা স¤পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সে এটা নিয়ে কথা বলার কে? সারাক্ষণ নানান মিথ্যা বানোয়াট উস্কানিমূলক বিষয়ে কথা বলে, অথচ পরে আবার বলবে সে ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে না। সারাক্ষণ মানুষকে ছোট করে কথা বলবে, পরে বলবে সে মানুষকে ছোট করে কথা বলে না। একেক সময় একেক রঙ ধারণ করে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার নগ্ন খেলা এসব বহুরূপী ছোট মনের ব্যক্তিই পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।