বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে অতর্কিতভাবে লাঞ্চিত করেছেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নাঈদ আলম। ঘটনাটি গত বুধবার কলেজ চলাকালীন সময়ে ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কলেজের শিক্ষকেরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।তারা জানিয়েছেন,ঘটনাটির সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে ক্লাস বর্জনের সিদ্বান্ত নেওয়ার আশংকা রয়েছে।
ওই কলেজের প্রভাষক আবু সাঈদ জানান, গত বুধবার কলেজ প্রাঙ্গণে(১৫ ফেব্রুয়ারী) ২১ ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা কলেজের অধ্যক্ষ নঈদ আলমের সভাপতিত্বে শুরু হয়।সভায় বিভিন্ন কথার এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে গালমন্দসহ শার্টের কলার ধরে ধাক্কাধাক্কি করে শারীরিক লাঞ্চিত করেন।
জানা গেছে, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক সভায় অধ্যক্ষ নঈদ আলম শিক্ষক,কর্মচারীদের উদ্যোশে বলেন, এবারে ২১ ফেব্রুয়ারীর দিন যে শিক্ষক কলেজে আসবে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করা হবে।
এমন কথায় ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর কলেজের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়নি। এবং কি সেদিন কলেজে তেমন কেউ উপস্থিত হন নি। স্বয়ং আপনি অধ্যক্ষ নঈদ আলমও কলেজে আসেন নি। ওই শিক্ষকের এমন কথায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ,পরে তিনি ওই শিক্ষককে মেজাজ দেখানো শুরু করেন। এ সময় ওই শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন,গত ১৬ ডিসেম্বরে ফুলের ডালা বানিয়েও টাকার অভাবে ডালা নেওয়া হয়নি। ফুলের ডালার কারিগররা আপনাকে ফুলের ডালা নিতে ফোন দিলে ডালা না নিয়ে আপনি তাদেরও অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। শুধু তাই নই,আপনি কলেজের সব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজে নেন। পরীক্ষা ফি নির্ধারণ করে টাকাও নেন। শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের এমন সব কথায় চরম উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়েন অধ্যক্ষ। পরে ভোকেশনাল শাখার ওই শিক্ষককে শাটের কলার চেপে ধরে ধাক্কাধাক্কিসহ গালিগালাজ ও চড় মেরে দাত ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন ওই অধ্যক্ষ।
এ ঘটনার তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানান, ওই কলেজের বাংলা প্রভাষক আবু সাঈদ,হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা।
হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক আনিসুর রহমান জানান, ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার কলেজের সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় অধ্যক্ষের সাথে বসার পরিবেশ করার চেষ্টা করলেও সেদিন অধ্যক্ষ আর কলেজে আসেননি। বর্তমানে কলেজ বন্ধ রয়েছে। কলেজ খুললেই ঘটনাটির সুষ্ঠ সমাধান না হলে প্রয়োজনে ক্লাশ বর্জনের মত সিদ্বান্ত নেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ভোকেশনাল শাখার সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক গতকাল শনিবার মুঠোফোনে বলেন, কলেজ চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের সামনে অধ্যক্ষ তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেছেন। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি জানান,কলেজের সিনিয়র শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওযা হয়েছে ঘটনাটির সঠিক বিচার করার জন্য। তারা সেটি না পারলে শিক্ষকেরা সবাই ক্লাস বর্জনের ঘোষনা দিতে পারেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তবে এ বিষয়ে অধ্যক্ষ নঈদ আলম গতকাল শনিবার বলেন, এটা কি অভিযোগ করছে, ঠিক আছে আপনার সাথে আমি দেখা করে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির গতকাল শনিবার বলেন, এমন ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি। তারপরেও বিষয়টির খোজ খবর নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।