বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
ড. কেএএম শাহাদত হোসেন মন্ডল
মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল হলো সর্বোচ্চ আদালতÑসুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আজ কিছু কিছু দলকানা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও রাজনীতিবিদের কথা ও কাজের কারণে আদালত প্রাঙ্গণের পবিত্রতা ক্ষুণœ হচ্ছে, প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বিচার বিভাগ। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এবিএম খাইরুল হক ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর কর্মকা-ের কারণেই দেশের আদালত তথা বিচার বিভাগের এই নাজুক অবস্থা। এখানে উল্লেখ্য, ‘বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার পরে রায় লেখা বেআইনি ও অসাংবিধানিক’Ñ প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার এমন বক্তব্য নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর কর্মকা- ও বক্তব্য জাতিকে করেছে হতাশ। উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বক্তব্যকে শুধু চ্যালেঞ্জই করেননিÑতিনি প্রধান বিচারপতির অপসারণ/পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেনÑযা ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
অবসরে যাওয়ার পর শামসুদ্দিন মানিক একজন সাধারণ নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও প্রধান বিচারপতি তথা সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের ধৃষ্টতার পেছনে যে শক্তিটি কাজ করছে অনেকের মতেই তা হলো সরকারি দলের মদদ/ইন্ধন। আওয়ামী লীগের উপেদষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তো প্রধান বিচারপতিকে শুধু সতর্কই করেননি, একেবারেই শাসানিই দিয়েছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য তার শপথের পরিপন্থী। এ বক্তব্যের পিছনে কোনো অসাংবিধানিক শক্তির সঙ্গে আঁতাত ও উস্কানি থাকতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সংসদেও প্রধান বিচারপতির এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা তিক্ত আলোচনা করেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বক্তব্য প্রসঙ্গে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক। তার ভাষ্য ছিল, “অবসরে যাওয়া বিচারপতিদের রায় লেখা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা তার নিজস্ব বক্তব্য। আমি ওই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্য নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা হচ্ছে।” সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ এবং বর্তমান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক উভয়ের বক্তব্য হলো, “অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিদের রায় লেখা অবৈধ ও অসাংবিধানিক নয়।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতির ‘অবসরে গিয়ে রায় লেখা সংবিধান পরিপন্থী’ বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন বিতর্কের জন্ম দেয়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বিকারগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত ও উন্মাদ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিচার বিভাগের ভাবমর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞ, সাবেক বিচারপতি এবং প্রখ্যাত আইনজীবীরা। ‘বিচার বিভাগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং প্রধান বিচারপতির বক্তব্যকে সমর্থন করে তারা বলেছেন, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের সংবাদ সম্মেলন করা নজিরবিহীন। শুধু তাই নয়, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করা, তাকে মানি না বলে হুঙ্কার দেয়া অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত এবং অবিচারসুলভ আচরণ। এই ঔদ্ধত্য কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা হতাশাগ্রস্ত উন্মাদ ছাড়া কেউ করতে পারে না। আর বিচার বিভাগ কারো একক সম্পদ নয়, যা খুশি করা যাবে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করার এ চক্রান্ত রুখে জনগণের আশ্রয়স্থল দেশের বিচার বিভাগের ভাবমর্যাদা রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় না, আর বিরাজমান পরিস্থিতি অত্যন্ত বিব্রতকর। আইনজীবী ও বিচারকদের ব্যর্থতার কারণে জনগণ বিচারের জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এদেশে বিচারপ্রার্থীদের কথা কেউ বলে না। তাদের দিকে কেউ তাকায় না। একটা দেশে ন্যায়বিচার না থাকলে সমাজ থাকে না।’ অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘বিচারকদের রায় নিয়ে এখন প্রায় প্রত্যেক বিচারপ্রার্থী অভিযোগ করে থাকেন। এই অভিযোগের কিছু বাস্তব ভিত্তিও রয়েছে। নি¤œ আদালতে পেশকাররা সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা সেখানে কোর্ট চালায়। আর উচ্চ আদালতে বেঞ্চ অফিসাররা রাজা। বিচার বিভাগের পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তাতে অচিরেই বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। বিচারকদের প্রমোশনের ক্ষেত্রে কারো আত্মীয়, কারো ঘনিষ্ঠজন, কারো পরিবারের সদস্যÑএই হলো যোগ্যতা’ (সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সাথে দ্বিমত শোষণ করলেও পরবর্তীতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কর্মকা- নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী প্রধান বিচারপতির চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন। তার কর্মকা-ে অভাবনীয় এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং এর প্রভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে’ (সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুবে হোসেনের ভাষায়, ‘বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর আচরণ বিচারকসুলভ নয়। তিনি বিচারাঙ্গণকে বিতর্কিত করে চলেছেন। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একজন বিচারপতি আদালত অঙ্গনে সংবাদ সম্মেলনের কোনো নজির নেই। তিনি একদিকে রাজনৈতিক মিছিল-সমাবেশ করছেন, টকশো করছেন, আবার অবসরে গিয়ে রায় লিখলেন যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আশা করি, প্রধান বিচারপতি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাথে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী। সিনিয়র আইনজীবীদের আশঙ্কা, মানুষের শেষ আশ্রয়ের জায়গা নিয়ে কোনো ধরনের নৈরাজ্য তৈরি হলে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তাই বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
দেশের প্রবীণ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমার যদি ক্ষোভ থাকে, অভিযোগ থাকে, যদি মনে হয় কেউ বেআইনি কাজ করছেÑতা আমি এভাবে যা মুখে আসবে তা বলবো, কোর্টকে বিতর্কিত করবোÑএটা হতে পারে না। তিনি বলেন, এ অবস্থায় আইনের প্রয়োগ করতে হবে। একটাই লক্ষ্য, বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করা যাবে না। বিচার বিভাগ যাতে কার্যকরভাবে তার ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধান বিচারপতি যেটাই করছেনÑ মূল দায়িত্ব, কর্তব্য তার আছে এবং সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির ওপর ন্যস্ত। প্রধান বিচারপতি যেটাই করবেনÑসেটা আমাদের শ্রদ্ধার সাথে বুঝতে হবে, মানতে হবে। উনি প্রহরীর ভূমিকায় যেটা করছেন, তা উনার দায়িত্ব ও কর্তব্য (সূত্র : দৈনিক দিনকাল, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)।
অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটে দাঁড়িয়ে যে কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত আপত্তিকর ও আদালত অবমাননার শামিল। প্রধান বিচারপতিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা রায় লিখতে পারবে না, এই কথা বহু আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন। উনি (প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা) বেগম খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে এটা বলেছেন। উনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, সরকার নাকি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। এসব মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য, মানুষের কাছে এই সরকারের ব্যাপারে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। আমি মনে করি, তার (প্রধান বিচারপতি) পদত্যাগ করা উচিত”। শামসুদ্দিন চৌধুরীর উপরোক্ত বক্তব্য প্রসঙ্গে একটি কথাই বলতে হয় তা হলোÑ শামসুদ্দিন চৌধুরী বিচারপতি থাকা অবস্থায় তার কাজ-কর্মে আওয়ামী লীগের একজন নেতাকর্মীর মন-মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেনÑ আজ জনমনে এই ধারণা দৃঢ় হয়ে দেখা দিয়েছে। এটার প্রমাণ, অবসর গ্রহণের পরপরই তার হাতে রায় লেখার সরকারি দলিল থাকা সত্ত্বেও তিনি আওয়ামী লীগের নেতার মতো মিটিং মিছিল ও টকশোতে বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘেড়াও আওয়ামী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণও করেছেন। এটা তিনি কোনক্রমেই করতে পারেন না। এর মাধ্যমে এটি আজ প্রমাণিত হলো যে, তিনিই একটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয়। নিজের দোষ ঢাকতেই তিনি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ এনেছেনÑযা মোটেই সত্য নয়, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যও নয়। প্রধান বিচারপতি শুধুই আইন ও সংবিধানের কথা বলছেন। অবসর গ্রহণের পর রায় লেখাটা যে বেআইনি ও সংবিধান পরিপন্থীÑসে কথাটাই প্রধান বিচারপতি সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন। এটি সাংবিধানিক সত্য। তিনি শুধুমাত্র এই সত্য ও আইনি কথাটাই বলেছেন দেশ ও জাতির স্বার্থে। এখানে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিষয়টি আসে কী করে?
এটি আজ স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, আমাদের দেশের বিচার বিভাগের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে। বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, বিচারপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, বিচারপতি হাবিবুর রহমানসহ অনেকেই রয়েছেন যারা দেশের বিচার ব্যবস্থার মান-মর্যাদা-সম্মান বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রেখে স্মরণীয় হয়ে আছেন। আদালত প্রাঙ্গণের পবিত্রতা ছিল সবার ঊর্ধ্বে। মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল ছিল সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কর্মকা- ও বক্তব্যে আদালতের পবিত্রতা ও বিচার বিভাগের মান-মর্যাদা ও ভাবমর্যাদায় কালিমা ছড়াচ্ছে। এক কথায় আমাদের দেশের গণতন্ত্রের ন্যায় আজ বিচার বিভাগও ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। এই অবস্থা থেকে বিচার বিভাগকে রক্ষা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।
পরিশেষে বলতে হয়, চলতি ঘটনা প্রবাহে বিচার বিভাগ বা বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাতে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন প্রতিটি মানুষই বিচলিত ও উদ্বিগ্ন। তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভব করেন। এটি সত্য যে, শামসুদ্দিন চৌধুরী তার আচরণ ও বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির চরিত্র হনন করছেন, বিচার বিভাগের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করছেন, বিতর্ক ও বাকবিত-া প্রলম্বিত করে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থায় চিড় ধরাচ্ছেন। এ কাজ তিনি করতে পারেন না। অথচ তিনি তার অবস্থানে অটল রয়েছেন। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, সেটা আইন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে বিচারপতিদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি প্রণয়ন করা যেতে পারে। এতে এমন ব্যবস্থা থাকবে যাতে কোনো বিচারপতি কোনো অবস্থাতেই এমন কোনো আচরণ প্রদর্শন ও বক্তব্য রাখতে পারবেন না, যা বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণœ করে, বিচারকদের মানসম্মান ব্যাহত করে ও আদালতের পবিত্রতা নষ্ট করে। মোট কথা, অবিলম্বে এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে হবে। কারণ সুবিচারের নিশ্চয়তা, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা সুরক্ষার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক : প্রফেসর, ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস ও সাবেক প্রো-ভিসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।