প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। ওজন বেড়ে একসময় ১০৫ কেজি হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে নিজেকে ঝরঝরে করে ফেলেছেন অভিনেত্রী। মাত্র এক বছর আগেও অভিনেত্রী রুনা খানকে যারা দেখেছেন, এখনকার তাকে দেখলে চমকে যান তারাই। নিজের পরিবর্তনের এই ছবিগুলো যখন একের পর এক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেগুলো। এমন পরিবর্তনে নজর কাড়ার পাশাপাশি প্রায় সবারই কুঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন রুনা খান। নানা প্রশ্নের মাঝে অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিজেকে নতুনরূপে উপস্থাপনের ভাবনা এলো কখন? জবাবে রুনা খান বলেন, নাটক, ওটিটি কনটেন্ট বা সিনেমার কাজের জন্য নয়; নিজে শারীরিকভাবে সুস্থতার জন্য ফিট থাকার চেষ্টা করছি। অনেক অনেক চেষ্টা করেও পারিনি। গত বছর পেরেছি। ৫০ বার ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু হাল ছেড়ে দিইনি। এই গল্প কেউ জানে না।
তবে এ নিয়ে মিডিয়ার মাতামাতিতে বেশ বিব্রত উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, আমার এই চেষ্টা যদি কারও ভালো লাগে, কাউকে অনুপ্রাণিত করে, তা হলে আমি আনন্দিত হব। তবে এখানে একটি কথা বলতে হয়— আমার এই পরিবর্তন নিয়ে এত মাতামাতি হয়েছে, যা ভালো লাগেনি। শুধু আমাদের দেশে নয়, কলকাতার গণমাধ্যমেও এ নিয়ে কথা হয়েছে। আমি বিব্রত।
এর আগে ওজন কমানোর বিষয়ে রুনা বলেছিলেন, ওজন কমানোর জার্নিটা আসলে এক বছরের। এক বছরে আমি একটি পয়সাও ওজন কমানোর পেছনে খরচ করিনি। আমার বাড়িতে প্রতিদিন যে স্বাভাবিক খাবার রান্না হয়, সেখান থেকে পরিমিত খাবার খেয়েছি। সপ্তাহে একদিন পোলাও অথবা তেহারি খাই। খুব ভালো লাগে। পছন্দের খাবার। একবেলা এসব খাবার খেলেও বাকি দুই বেলা রুটিনের খাবারই থাকে। আর আমি আমার বাসার শোবারঘর থেকে ড্রয়িংরুম পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘণ্টা হাঁটতাম।
তিনি বলেন, রাতে এক ঘণ্টা ইয়োগা করি। রাত ১২টা কিংবা ১টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাই, কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাই। গত ১০ বছরে এসব পারিনি। আমার কাছে পৃথিবীর একদম সহজ উপায়। সহজ কাজটা গত এক বছর ধরে করতে পেরেছি। গত বুধবার পর্যন্ত ৩৯ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে রুনা খানের যখন বিয়ে হয়, তখন তার ওজন ছিল ৫৬ কেজি। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ওজন। এর পর সন্তান জন্মের সময় তার ওজন দাঁড়ায় ৯৫ কেজিতে। একটা পর্যায়ে ওজন গিয়ে ঠেকে ১০৫ কেজি পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।