Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় ওলামা সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই আগামীকাল দেশের বৃহৎ জুমার নামাজ চরমোনাই ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে

সকল ইসলামী দলের সমন্বয়ে মজবুত প্ল্যাটফর্ম গঠনের কাজ করছে ইসলামী আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫০ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহরাতাম আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল

করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে।
এদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। নীতি ও
আদর্শের ক্ষেত্রে অটল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিগত ৩৫ বছর ধরে
রাজনীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। স্বাধীনতার ৫২ বছরে যারা
রাজনীতি করেছে তারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার
রাজনীতি করে নাই, একারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মানুষের অধিকার
প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। আমরা মনে করি,
দেশের চলমান অস্থিরতা নিরসনের একমাত্র পথ হলো ইসলামকে বিজয়ী করা। সুতরাং
সকল ইসলামী দলের সমন্বয়ে মজবুত ইসলামী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে।

আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক চরমোনাইর বার্ষিক
মাহফিল স্টেজে আয়োজিত জাতীয় ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি আরো বলেন, চরমোনাই
মাহফিলের মঞ্চ হক্কানী ওলামাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ওলামাদের
সহযোগিতা থাকলে কোন ষড়যন্ত্র এই কাফেলা ধ্বংস করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ
ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, ওলামায়ে কেরাম যে যে পস্নাটফর্মে থেকে
ভালো কাজ করছে আমাদের সকলের উচিত সে ভালো কাজের প্রশংসা করা। ওলামায়ে
কেরামের চোখ কান খোলা না থাকলে উম্মাহ ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং ওলামাদের
চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। বর্তমান সরকারের ওপর সওয়ার হয়ে একদল নাস্তিক
সিলেবাসের মাধ্যমে জাতিকে না¯িত্মক বানানোর পঁয়তারা করছে। ওলামায়ে কিরাম
ঐক্যবদ্ধ হলে এধরণের যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্য
প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে সর্বদলীয় জাতীয়
সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছি।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি শাšিত্ম প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট
নয়। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের জন্য লেভেল পেস্নইং ফিল্ড তৈরি করতে
পারলেই কেবল আমরা জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।

ওলামা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শায়খ জাকারিয়া রহ. ইসলামী রিসার্চ
সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, অতীতের ওলামাদের
মিমাংশিত বিষয় যেমন- আক্বিদা,আমল ও রাজনীতির বিষয়ে নতুন কিছু মানা যাবে
না। চরমোনাই বুজুর্গরা যেভাবে চলছেন এই ভাবে কাজ চলতে থাকলে একসময় ঐক্য
হয়ে যাবে ইনশাআলস্নাহ। ঢালকা নগরের পীর সাহেব মাওলানা জাফর আহমদ বলেন,
ঐক্য করতে হবে কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে। শরীয়তের সাথে ঐক্য না হলে কাজ
হবে না। এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আলেম ওলামাদের
কাজ শুধু মসজিদে মাদরাসায় নয়, দেশের কোন সেক্টর কোথায় কিভাবে চলবে তার
নির্দেশ দেয়া ও দেখা শোনা করা তাদের দায়িত্ব। গত ৫০ বছরে শোষক ও শোষিত
বলে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমি বলেছিলাম ৭১ এ জামায়াত জালিম ও মজলুমের
লড়াইয়ে জালিমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এজন্য জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমা
চাইতে হবে।

ওলামা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর
উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী সরকার, কেন্দ্রীয়
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. বেলাল নুর আজিজী, খুলনা দারুল উলুম
মাদরাসার মুহতামিম মাওঃ মোশতাক আহমেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক
যুগ্ম সচিব জোবায়ের আহমেদ, মুফতী মুহিবুল্লাাহ , বিশিষ্ট আলেম মাওঃ ফরিদ
উদ্দিন আল মোবারক, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ এর সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা
শাহ আলম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. ফারুখ
আহমেদ, মুফতী হাফিজুর রহমান গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা
বোর্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী গোলামুর রহমান, হাটহাজারী মাদ্রাসার
সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী মাওঃ জোনায়েদ বিন জালাল, মাওঃ ইসমাইল মাদানী,
মাওঃ আকরাম হোসেন, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওঃ ইমতিয়াজ
আলম, মাওঃ আশিকুল্লাহ, শায়খুল হাদীস মুফতী আজিজুল হক, মাওঃ হোসাইন
আহমেদ,জাতীয় দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তাজুল ইসলাম,
মুফতী মজিবুর রহমান, মাওঃ ইকবাল সিরাজী, মুফতী ওমর ফারম্নক, মাওঃ আনোয়ার
বিন মুসলিম, মুফতী লিয়াকত আলী, মাওঃ আবদুর রাজ্জাক কাসেমী, মাওঃ
হারম্ননুর রশিদ কাসেমী, মুফতী রেজওয়ান রফিকী, মুফতী রেজাউল করীম আবরার,
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, শ্রমিক আন্দোলন সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা
খলিলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ওমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওঃ মীর
আহমদ মিরু, কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল
বাতেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মাওলানা বজলুর
রহমান খান, ফেনী ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতী ইউসুফ কাসেমী
এবং ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ৮.৩০টায় হযরত পীর সাহেব চরমোনাই'র আখেরি
বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
চরমোনাই মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে মোট ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন বলে
চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল (সিএমএইচ) কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
০১। হারুনুর রশীদ, পিতা মোঃ আঃ রহমান, নওগাঁ সদর। ০২। মোঃ সাদেক মিয়া,
পিতা লিয়াকত মন্ডল, ফুলপুর, ময়মনসিংহ
০৩। মোঃ রওশন শেখ, পিতা- মৃত তোফাজ উদ্দীন শেখ, মোকসেদপুর, গোপালগঞ্জ।
০৪। মোঃ জামাল উদ্দিন, পিতা মৃত মাহামুদ মুন্সী, মাদারগঞ্জ, জামালপুর।
তাদের নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ