Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাস্তায় গাছ কর্তনের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : প্রচলিত বিধানকে উপেক্ষা করে সড়কের পাশে রোপণকৃত গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগে অবশেষে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রামনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গির বাদী হয়ে বটেরহাট যুব উন্নয়ন সমিতির সভাপতি, সম্পাদক ও সদস্যদের আসামি করে গত সোমবার রাতে পীরগঞ্জ থানায় ওই মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়মহজিদপুর, রাজারামপুর, খেজমতপুর গ্রামের রাস্তার দু’ধারে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১০ বছর পূর্বে ইউক্লিপ্ট্যাস রোপণ করা হয়। গাছ লাগানো সমিতির একাধিক সদস্য ও রাস্তার ধারের ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা অভিযোগ করেন, তাদের প্রাপ্য অংশ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গাছ রোপণকৃত সমিতির সভাপতি খেজমতপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন, লাল মিয়ার পুত্র শাহীন মিয়া ও রাজারামপুরের কানু মিয়া ও তারা মিয়া সর্বপ্রকারের নিয়ম-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে উলিখিত রাস্তার দু’লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের ইউক্লিপ্ট্যাস গাছ কর্তন করে বিক্রি করেন। ফলে প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত সদস্য ও জমির মালিকরা পীরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে পীরগঞ্জ থানার এসআই প্রলয় কুমার বর্মন গত শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্তনকৃত গাছগুলো আটকে দেন। পরে রাতে নামধারী এক সংবাদ কর্মীর মাধ্যমে মোটা অংকের বিনিময়ে রফাদফা হওয়ায় পুলিশ আটককৃত গাছগুলো ছেড়ে দেয়। গত রোববার দিনভর জ্বালানি হিসেবে ধাপেরহাটের একটি ইটভাটায় এবং বাকি গুড়িগুলো উপজেলার করিমপুর গ্রামের আব্দুলের পুত্র কাঠ ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। কাঠ ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম জানান, তিনটি রাস্তার মধ্যে আমি একটি রাস্তার গাছের গুড়ি ১৫০ টাকা সিএফটি দরে কিনে নিয়ে ধুলগাড়ী গ্রামের জেনাদুল চৌধুরীর স’মিলে সয়িং-এর জন্য মজুত করেছি। গাছের গুড়ি পরিবহনকারী ট্রলিচালক কুমারগাড়ী গ্রামের মকবুলের পুত্র লিমন ও আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তারা জানান, কাঠ ব্যবসায়ীর সাথে চুক্তি অনুযায়ী আমরা কাটা গাছ স’মিলে নিয়ে যাচ্ছি। এগুলো কিনেছে করিমপুরের নূরুল ইসলাম। গত সোমবার বিকালে সমিতির সভাপতি বটেরহাট যুব উন্নয়ন সমিতির সভাপতি খেজমতপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন, লাল মিয়ার পুত্র শাহীন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পুলিশ এসেছিল সম্মান করে বিদায় করেছি। আর কোনো ঝামেলা করে নাই। ভালো করে ভিডিও করেন, ছবি তোলেন, পেপারে দিন, পরে দেখা যাবে। রাস্তা লিজ নিয়ে গাছ আমরা লাগিয়েছি, আমরাই কেটে তা বিক্রি করছি। পীরগঞ্জ থানার এসআই প্রলয় কুমার বর্মনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভাই আমার সাথে কথা না বলে ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন। পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বিক্রিত গাছগুলো জব্দ করে তদন্তসাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় প্রেরণ করেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ