বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তা। এ নিয়ে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে বুধবার দুপুরে এই সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে স্বাক্ষ্য দেয় পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, সোনারগাঁ থানার সহকারি ুউপ-পরিদর্শক (এএসআই) কর্ন কুমার, শেখ ফরিদ ও মতিউর রহমান।
এর আগে সাকলে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহন শেষে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারী কৌঁসুলি(পিপি) রকিব উদ্দিন জানান, আজ তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। সাক্ষীরা আদালতে জানিয়েছেন মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্না তাদের বলেছেন মামুনুল হক ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এর আগে মামলার বাদী, পুলিশ কর্মকর্তা, র্যায়েল রির্সোটের কর্মকর্তা-কর্মচারী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আজ পুলিশের তিন জন এএসআই সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথম সাক্ষী ও এএসআই শেখ ফরিদ আদালতে দাড়িয়ে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তিনি যে জবানবন্দি দিয়েছেন তার সাথে কোন মিল নেই্ । এগুলো সব বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হকের দাবি, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।