দীঘদিন যাবৎ ভাঙ্গা  উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ চুরির হিরিক এমন কথা শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এই কথাই সত্যি হলো। বিদ্যুৎ চুরি ও তথ্য গোপন করে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন হিটার ব্যবহার বহু সাইড লাইন দিয়ে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্টান পরিচালনার   অপরাদে বামনডাঙ্গা বাসষ্টান্ডে "লাল সবুজ" আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে পল্লীবিদ্যুত বিভাগ ঔ প্রতিষ্টান কে প্রায় অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্টান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। বিষটি বুধবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) ভাঙ্গা পল্লীবিদ্যুতের এজিএম আকতার জিন নুরইন গনমাধ্যমকে কে নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, এদের অপরাদ নির্নয় করে নগদ ৪৩ হাজার টাকারও বেশী পরিমান জরিমানা করা হয়েছে। এবং গ্রাহকের নামীয় মিটার ও হিটার জব্দ করা হয়েছে। এবং আগামি ৫ দিনের মধ্যে তথা রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)  জরিমানার টাকা পরিষদ করতে হবে। অন্যথায় আইনের আওতায় আনা হবে। ৩০০ শত টাকা মুল্যের ষ্টাম্পে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।

 

এর আগে গত (১৪ ফেব্রুয়ারি)  বিকেলে  ভাঙ্গা পল্লীবিদ্যুতের কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিওিতে জানতে পারেন ভাঙ্গা উপজেলার বামনডাঙ্গা বাসা ষ্টান্ড এলাকায় "লাল শালুক আইসক্রিম" ফ্যাক্টরিতে একটি মিটারের বীপরীতে ৩/৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্টান চলছে বলে জানতে পারেন। তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযান চালালে সেখানে একাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্টান চলা, ১৫ টি ফ্রীজ ব্যবহার উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একধিক ছোট বড় হিটার ব্যবহার ১৫/২০ টি অটো  চার্জ দেওয়া, বহু সাইড লাইন কানেকশন, ওয়েল মিল চালানোসহ বহু অনিয়ম ও অপরাদের ঘটনা  তাদের হাতে হাতে ধরা পড়ে।

 

এ সবই ইরিব্লকে সেচ দেওয়ার কথা বলে মাত্র একটি বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে করা। এলাকাবাসী গনমাধ্যমকে কে বলছেন, এই ঘটনার সাথে মালিগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকেরাই জড়িত। দিন রাত সরকারের সম্পদ চুরি করে প্রকাশ্যেই করাটা অনেক দুদর্শিতার কথা। তবে উল্লেখিত সবগুলো অভিযোগ ঘটনা উপজেলা মালিগ্রাম বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ঘটস্হানে পাইলে অপরাদের তুলনায় শাস্তি তো হয়নি উপরন্ত জরিমামানাও হয়েছে কম। তবে এই বিষয় " লাল শালুক আইসক্রিম "" কর্তৃপক্ষ বলছেন আমরা নিয়মের মধ্যে ছিলাম এখনও আছি।

উল্লেখিত, বিষয় আইনগত ব্যাখ্যা এবং বক্তব্য নিতে এই প্রতিনিধি ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কথা গনমাধ্যমকে বলেন, বিষটি আমার জানা নাই। মামলা কেন হয়নি আমি তাদের সাথে কথা বলবো। সহকারী কমিশনার ভুমিকে মোবাইলে একাদিক বার ফোন দিলেও  তিনি ফোন তুলেননি।