বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় একটি দলীয় কর্মী সমাবেশে চরম উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কর্মী সমাবেশের জন্য নির্মিত স্টেজে নির্ধারিত নেতার চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকজন দেখে তিনি চরম ক্ষো প্রকাশ করে বলন, “কেউ তো বাকি নেই, সব নেতা। এত যদি নেতা হয়, তাহলে কর্মীর কারখানা তো বন্ধ হয়ে যাবে”।
তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামীলী লীগ আয়োজিত এক কর্মি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পাকিস্তান আজ তলিয়ে গেছে, অর্থনীতিতে ডুবে গেছে। ফখরুল এখনো পাকিস্তানের জয়গান গায়। ৭১ ফখরুলের পছন্দ নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের পছন্দ নয়। সে জন্য মিটিং করতে গেছে গোলাপবাগের গরুর হাটে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করবে না। কারণ সেখানে পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ হয়েছে, ফখরুলের পেয়ারা দোস্ত পাকিস্তান। এরা পাকিস্তানের কথা স্মরণ করে সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। পাকিস্তানের জয়গান গেয়ে রাতে ঘুমায়। বাংলাদেশে এখনো ৫ মাসের আমদানি রিজার্ভ মজুদ রয়েছে। পাকিস্তানের কাছে ১ সপ্তাহ আমদানি করার টাকা নেই। তারপরেও মির্জা ফখরুল বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম।
তিনি নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপি যদি আবারো ক্ষমতায় আসে, বোরকা পরে ঘরে রাখবে। এরা যদি আবারো আসে, আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। মেয়েরা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেনা। এরা ক্ষমতায় গেলে মেয়েরা সরকারি চাকরি করতে পারবেনা। এখন বাংলাদেশের মেয়েরা সচিব, হাই কোর্টের বিচারপতি, আর্মির মেজর, পুলিশের এসপি, ডিসি। এসব কে করেছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছে।
নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। ঐক্যবদ্ধ থাকা মানে স্মার্ট থাকা, শৃঙ্খলা মেনে চলা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে, ঐক্যবদ্ধ স্মার্ট কর্মি দরকার।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খাঁন সোহেল। এসময় তিনি কবিরহাট উপজেলা চত্বরে ৪৯ টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।