Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেয়ার বাজারে নতুন দিগন্তের হাতছানি

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। নানামুখী পদক্ষেপে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার নতুন চালিকাশক্তি হিসেবে হাতছানি দিচ্ছে শেয়ারবাজার। কেননা বিগত কয়েক মাস যাবতই বাজারের যে পরিস্থিতি তাতে অনেকটাই ফুরফুরে আমেজে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আর তাদের সেই উৎফুল্লতায় দ্রæত ছড়িয়ে পরেছে মতিঝিল পাড়ায়। বর্তমান বাজার বিনিয়োগের অনুক‚লে হওয়ায় বিদেশীদের পাশাপাশি দেশী বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এসেছেন। এরই অংশ হিসেবে আজ দুই বছরেরও বেশি সময় অর্থাৎ ২৫ মাস পর ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৫০০০ পয়েন্ট ছাড়ালো। এর আগে ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সূচক ৫০০৫ পয়েন্ট ছিল। যা বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও বেশী গতিশীল করবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা এই মুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের ভয়ের মধ্যে থাকতে নিষেধ করেছেন। ভীতু মনে এখন শেয়ার কেনা থেকে দূরে থাকা মানেই হলো পস্তানো। আজ না কিনলে কাল আর সেই শেয়ার কেনা যাবেনা। কাল না কিনলে পরশু আরো বেশি দামে সেই শেয়ার কিনতে হবে। তারা বিনিয়োগকারীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, উঠার সময় মুনাফা না তুলতে পারলে পড়ার সময় তা সম্ভব হয়না। তারা বলছেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে আরো এক বছর সময় পাচ্ছে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ডিলার ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো, জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশের প্রত্যাশা এবং বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের হিড়িক। সবকিছু মিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের মনোবল বাড়ছে। যা অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নেবে। তাই এ সময়ে কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই টানা উত্থানে বিরাজ করে বাজার। প্রথম দিকে এর মাত্রা কিছুটা বেশি হলেও পরে এ হার কিছুটা হ্রাস পায়। মঙ্গলবার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনকৃত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ভর করে টাকার অংকেও উভয় বাজারে অনেকটা বেড়েছে লেনদেন।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫০১৬ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮০৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৪টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১০ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ সোমবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৯৯৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭৯৮ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮১ কোটি ৮০ লাখ ৯২ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১২৮ কোটি ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫৪৫০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬৫টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১০৮টির এবং অপরবর্তিত রয়েছে ১৩টির। আর দিনশেষে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে সিএসই সার্বিক সূচক ১৩৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৫৩৮৫ পয়েন্টে। আর ওই দিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৬৮ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার টাকা। -ওয়েবসাইট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ