প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউডের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কৈলাশ খের। তার কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন সংগীতপ্রেমীদের। বর্তমান সময়ের সফল এই শিল্পীও এক সময় নিজের জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। জীবনের শুরুতে বিভিন্ন ধরনের ব্যর্থতার কারণে তাকে অবসাদ গ্রাস করেছিল। তিনি গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে জীবনের সমাপ্তি টানতে চেয়েছিলেন। তবে এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েও স্বাভাকিব জীবনে ফিরে আসেন কৈলাশ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কৈলাশ খের বলেন, ‘আমার বয়স যখন ২০ কিংবা ২১ হবে, সেই সময় আমি দিল্লিতে একটি ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা। অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু একে একে সব ব্যবসা ব্যর্থ হতে শুরু করে।
শিল্পী কৈলাশ খের আরও বলেন, ‘এরপর আমি স্থির করি, পুরোহিতের কাজ করব। সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে হৃষিকেশের উদ্দেশে রওনা দিলাম। সেখানে গিয়ে আমার উপলব্ধি হতে থাকে, আমি বড্ড বেশি বেমানান এখানে। কারও মানসিকতার সঙ্গে আমার চিন্তাভাবনার মিল ছিল না। আমি যেন সব কিছু থেকেই বিচ্ছিন্ন। এক দিন আমি ঠিক করি, আত্মহত্যা করব। ঝাঁপ দিলাম গঙ্গায়।’
তবে গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যান গায়ক। কৈলাশের ভাষায়, ‘ঘাটের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি জলে ঝাঁপ দিয়ে আমার প্রাণ বাঁচান। আমাকে জিজ্ঞেস করেন, গঙ্গায় ঝাঁপ দিলে কেনো? উত্তরে বলেছিলাম, মরতে। আমার উত্তর শুনে তিনি আমাকে সেই রকম মার মারেন।’এই ঘটনার পর কৈলাশের জীবন বদলে যায়। তার কথায়, ‘এই ঘটনার পর আমি নিজেকে ঘরবন্দি করি এবং তখন থেকেই শুরু হয় আমার আধ্যাত্মিক যাত্রা।’
কৈলাশ ২০ বছর বয়স থেকে কাজ করতে শুরু করেন। শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই যে কাজ শুরু করেছেন- তেমনটা নয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করছেন। আমদানি-রপ্তানির ব্যবসাও করছেন তিনি। তারপর তিনি চলে যান হৃষিকেশে পৌরোহিত্য করতে। কিন্তু সেই কাজেও ব্যর্থ হন তিনি। এভাবে হতাশা গ্রাস করতে থাকে কৈলাশকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।