Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাম্য সেবা সৌহার্দ্যের মধ্যেই ইসলামের সৌন্দর্য -উবায়দুর রহমান খান নদভী

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২:৪০ পিএম

কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক প্রখ্যাত কলামিস্ট দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেছেন,হানাহানি নয় সাম্য,সেবা সৌহার্দের মাঝেই ফুটে ওঠে ইসলামের সৌন্দর্য।
তিনি বলেন, আল্লাহ পাক নিজেই সকলের দোষ ত্রুটি ঢেকে রাখেন। নাহলে মানুষ চরম লজ্জায় পড়ে যেত। আল্লাহর প্রতি প্রেমের প্রকাশ ঘটাতে চাইলে, তাই পরনিন্দা, পরচর্চা থেকে মুসলমানদের দূরে থাকতে হবে। কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গীবত করা মানে মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাওয়া। '
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ায় ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আয়োজিত তিনদিনের তাফসিরুল মাহফিলের ২য় দিনের
মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মানুষ সহ সকল সৃষ্টি জীবের জন্মের আগেই তার রেজেকের ব্যবস্থা করে রাখেন। এটা নির্ধারিত তাই এটা নিয়ে পেরেশানির কোন কারন নেই। সুন্নাতে রাসুল সাঃ এর অনুসরন করে আউলিয়ায়ে কেরামগন খেদমতে খালক ও
একরামুল মুসলেমিনের যে শিক্ষা আমাদের দিয়ে গেছেন তার অনুসরন করলে জান্নাত নিশ্চিত। '
বগুড়ার শাহ কামালিয়া মাদরাসার মোহতামিম
মাওলানা শহীদুল ইসলাম এই মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন। তিনদিনের এই তাফসিরুল কোরান মাহফিলে আরও ওয়াজ ফরমান, জামিল মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল হক আজাদ, মাওলানা মুসতাকুন্নবী কাসেমী ( কুমিল্লা ), মাওলানা হামেদ জহীরি ( ঢাকা) সহ প্রখ্যাত আলেমগন।
ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বগুড়ার এটি ৩৩ তম অধিবেশন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।



 

Show all comments
  • Rabbul Islam Khan ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:৩২ পিএম says : 0
    মানবসেবাই প্রকৃত ধর্ম। আল্লাহকে কাছে পাওয়ার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হলো মানবসেবা। ইসলাম মানুষের সঙ্গে মানুষের ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের জন্যে অনুপ্রেরণা দেয়। মানুষের সেবা করতে এবং তার কষ্ট, অসুবিধা দূর করার জন্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Parves Hossain ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:৩২ পিএম says : 0
    আমাদের মুসলমান হিসেবে কর্তব্য মানুষের দুঃখে কষ্টে পাশে থাকা, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। আল্লাহর প্রেরিত নবী রাসূল এবং পীর-আউলিয়ারা যারা ইসলাম প্রচারের জন্য এ দেশে এসেছিলেন, তারা সবাই মানবতার সেবায় নিবেদিত ছিলেন।
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুল ইসলাম ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:৩২ পিএম says : 0
    মানুষের সেবা করা, দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটি উত্তম ইবাদত। যুগে যুগে ইসলামী মনীষীগণ মানব সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। বিদায় হজে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের তথা প্রতিটি মুসলমানের জান, মাল, সম্পত্তি, ইজ্জত, শরীরের চামড়া যেভাবে আজকের এ মহান ইয়ামুন্নাহারের দিনে, এ পবিত্র জিলহজ মাসে এ পবিত্র হেরেম শরিফে হারাম ও সুরক্ষিত, ঠিক তেমনিভাবে সব দিন, সব মাস ও সর্ব স্থানে হারাম ও সুরক্ষিত বলে গণ্য হবে। খবরদার! তোমরা আমার অবর্তমানে পুনরায় কাফেরদের ন্যায় পরস্পর মারামারি, কাটাকাটিতে লিপ্ত হবে না।’ (বুখারি শরিফ)।
    Total Reply(0) Reply
  • নাজমুল হোসেন বাদল মাঝী ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:৩৩ পিএম says : 0
    কুরআনের ঘোষণাÑ আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ সে জাতি নিজের থেকে কোনো প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে ( আল কুরআন)। জাতীয় সিদ্ধান্তই জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে সাম্য-সমতা স্থাপনে সম্ভব হতে পারে, হয়েছেও আগে এবং তাই আল কুরআনের ভাষায় ‘আন আকিমুদ্বীন-এর চূড়ান্ত রূপ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ