Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপির অহিংস যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের আস্থা বেড়েছে দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:৩৪ পিএম

বিএনপির অহিংস যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের আস্থা বেড়েছে দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিদায়ের অগ্রযাত্রা হচ্ছে বিএনপির চলমান পদযাত্রা। ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে দ্রুত সরকারকে বিদায় করতে সক্ষম হবো উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেছেন, যুগপৎ আন্দোলনে মানুষের মধ্যে একটা আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত দিনে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতেও কোনো বিশৃঙ্খলা হবেনা। বিএনপি শান্তিপুর্ণ কর্মনুচিতে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। গণতন্ত্র বার বার হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি,
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র ঘোষিত সারাদেশে ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসুচি সফল করতে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে লুটেরা সরকার মেগা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ চরম দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। বিচার বিভাগে বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। বিশেষ অথিতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বন্দি রাখা মানে গণতন্ত্রকে বন্দি রাখা। খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র আজ যেন সমার্থক।
জনগণ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র বিরোধী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সন্নিবেশিত করে ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ দাবি জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছে। সরকার এই দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত
খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. গাজী আব্দুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাবেক বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ