রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ২৭ এইচএসসি পরীক্ষার্থিনীর আসন্ন ফরম পূরণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ভিড় করলেও ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের ফল বিপর্যয় হতে পারে এমন আশঙ্কায় কারোরই কথা না শুনে অধ্যক্ষ একঘেয়েমি সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। মিজানুর রহমান খান মহিলা ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে। একাদশ শ্রেণীর ২৭ পরীক্ষার্থিনী ফরম পূরণ করতে না পারায় আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের। এ নিয়ে শিক্ষার্থী- অভিভাবকসহ দাতা সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানা যায়, অনিয়মিত ১৯ জন ছাত্রী এইচএসসি চূড়ান্ত পরীক্ষায় গত বছর অংশ নিয়ে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। অপরদিকে নিয়মিত ৮ শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় তাদেরও ফরম পূরণ করতে দেননি একরোখা অধ্যক্ষ ফকির আনোয়ার হোসেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্যদের নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই এবং পরপর এক বিষয়ে তিনবার পরীক্ষা দিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা জানান, অধিকাংশরাই হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক প্রভাষক সাবরিনা আক্তার সারা বছর নিয়মিত ক্লাস করাননি। ওই শিক্ষিকার দায়িত্বে অবহেলার কারণে এত শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। অভিভাবক কামাল আহম্মেদ বলেন, চূড়ান্ত পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্যদের পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম রয়েছে। কলেজের রেজাল্ট খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কায় অধ্যক্ষের এমন সিদ্ধান্ত অনৈতিক। অপর অভিভাবক শিপ্রা বসু বলেন, যদি ফরম পূরণ করতে না পারে তাহলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না। তাহলে এসব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথ বন্ধ হয়ে যাবে । তিনি দাবি করে বলেন, এদের (ছাত্রীদের) ফরম পূরণের ব্যবস্থা করে উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে অনুরোধ করছি। কলেজের দাতা সদস্য কাউন্সিলর শাহজাহান ম-ল বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উচ্চশিক্ষার কথা ভেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করছি। কোনো ভুল সিদ্ধান্তে যেন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট না হয় । এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান খান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফকির আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগের জন্য তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।