Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পিঁড়িতে বসা সেলুন

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : মানুষকে দেখতে সুন্দর করা যাদের কাজ, তারাই নরসুন্দর। আমরা যাকে বলি নাপিত। মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম উপকরণ চুল। এই চুল নিয়ে যুগে যুগে মানুষের ভাবনার অন্ত নেই। সেই কারণেই কেশবিন্যাসের কারিগর নাপিতের কদর ও প্রয়োজনীয়তা আজও ফুরিয়ে যায়নি। কেশ কর্তন বা ক্ষৌরকর্ম সম্পাদনের পর আমরা অনেকেই এই অতি প্রয়োজনীয় মানুষের খবর রাখি না, রাখার প্রয়োজনও অনুভব করি না। আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ফলে আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গতিধারায় এসেছে পরিবর্তন, লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। সে কারণে হাটবাজারের বটবৃক্ষের ছায়ায়, খেয়াঘাটে ফুটপাতের কিংবা গ্রামগঞ্জের জলচৌকিতে বা ইটের ওপর সাজানো পিঁড়িতে বসে নাপিতের হাঁটুর কাছে মাথা পেতে দিয়ে আবহমান বাংলার মানুষের চুল-দাড়ি কাটার সেই আদি পরিচিত দৃশ্য এখন আর সচরাচর চোখে পড়ে না পড়লেও আমাদের দৃষ্টি থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি। অনেক হাটবাজারে গেলে এখনও চোখে পড়ে চিরচেনা সেই দৃশ্য। চান্দিনা উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের বাসিন্দা নন্দন শীল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রাস্তার পাশে মাধাইয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করেন। তিনি হাটে হাটে জলচৌকিতে বসে সেই কাঠের বাক্স যার মধ্যে ক্ষুর, কাঁচি, চিরুনি, সাবান, ফিটকারি, পাউডার ও লোশন নিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে সুন্দর করে যাচ্ছেন। বয়স ৪৫’র কাছাকাছি। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত তিনি এই পেশায় আছেন। তখন চুল কাটা বাবদ দিতে হতো চার পয়সা আর দাড়ি কাটার জন্য দু’পয়সা। সে সময় শীলের যা আয় হতো তা দিয়ে সংসার ভালভাবেই চলে যেত। কিন্তু বর্তমানে ৫ টাকায় চুল ও ২ টাকা দাড়ি কেটেও সারাদিন যে টাকা উর্পাজন হয় তা দিয়ে সাংসারিক ব্যয় নির্বাহ করতে তাকে হিমশিম খেতে হয়। নন্দন শীল জানান, পূর্বে আমরা বার্ষিক চুক্তি হিসেবে কাজ করতাম। কিন্তু বর্তমানে সেই নিয়ম নেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমানে যে পরিবর্তন এসেছে চুল-দাড়ি কাটার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতিও পরিবর্তন হয়েছে। সেসব সেলুনে এখন আর শান দেয়া ক্ষুর দেখাই যায় না। তার বদলে এসেছে ব্লেড লাগানো ক্ষুর। এসেছে শেভিং ক্রিম, লোশন ব্লোয়ার, চুলের কলপ। তিনি যখন এ কাজ শুরু করেন তখন এগুলো ছিল তাদের কাছে কল্পনার অতীত।



 

Show all comments
  • Md Sadikul Bari ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০১ পিএম says : 0
    Good or bad ?
    Total Reply(0) Reply
  • Sudip Das ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০২ পিএম says : 0
    শক ছিলো একদিন এখানে যাব
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ