রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সিংড়া, (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : নাটোরের সিংড়ায় পিতা হত্যা মামলার আসামিদের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন উপজেলার ভোগা গ্রামের নিহত শামসুল ইসলামের পরিবার। মামলার বাদী নিহতের পিতা মোয়াজ্জেম আলী আসামিদের সঙ্গে আঁতাত করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ নিহতের স্ত্রী-সন্তানের। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১০ অক্টোবর উপজেলার ভোগা গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে শামসুল ইসলাম জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলা করায় ওই গ্রামের প্রতিপক্ষ বাবর আলীর ছেলে শুকুর আলী, জমসেদ আলী, আফছার আলীর ছেলে রুহুল আমিন, জহুরুল ইসলাম, আবেদ আলীর ছেলে আজাদ, আকবর আলীর ছেলে মকছেদ আলী, মকলেন ও মৃত আফতাব আলীর ছেলে হাসান আলী লোহার রড-হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে শামসুল ইসলামকে জখম করে। তাকে উদ্ধারে স্ত্রী ও শিশুসন্তানরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটানো হয়। প্রতিবেশীরা গুরুতর জখম অবস্থায় শামসুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রামেক হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তড়িঘড়ি করে শামসুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বার্থপর লোভী পিতা মোয়াজ্জেম আলী ছেলের জানাযা-দাফনে শরিক না হয়ে ওইদিন রাতেই নিজে বাদী হয়ে সিংড়া থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশি অভিযানে ৭জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। পরে ওই মামলায় আরো ৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পুলিশের দুর্বল চার্জশিট ও নিহতের পিতা মোয়াজ্জেম আলী আসামিদের সঙ্গে আঁতাত করলে একে একে ৬ আসামি জামিনে বেরিয়ে যায় বলে নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ। তিনি বলেন, বর্তমানে রুহুল আমিন নামে ১ জন জেলহাজতে রয়েছেন। আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে নিহতের স্ত্রী-সন্তানদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম, ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মেয়ে বৃষ্টি ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তধীন রয়েছে। নিহতের স্ত্রী-সন্তানরা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে শামসুল ইসলাম তার পিতার সঙ্গে পৃথক হয়ে ভিন্ন বাড়িঘর করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু লোভী পিতা মোয়াজ্জেম আলী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামিদের সঙ্গে আঁতাত করলে ১ জন বাদে ৬ আসামি জামিনে বেরিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম আলীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৩ লাখ টাকা আর ২ বিঘা জমি দিয়ে মামলাটি মীমাংসা করে নেয়ার চেষ্টা চলছে। কীভাবে মীমাংসা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা আমি পাব। আর অবশিষ্ট ২ লাখ টাকা আর ২ বিঘা জমি নিহতের সন্তানদের দেয়া হবে। এদিকে নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, টাকা দিয়ে স্বামী হত্যার বিচার মীমাংসা করতে চাই না। পিতা হত্যা মামলাটি চালিয়ে যেতে দেশবাসীর দোয়াসহ উর্ধŸতন পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন নিহতের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মেয়ে বৃষ্টি। সিআইডি অফিসার আমিরুল হক জানান, মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগিরই নতুন করে চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন ম-ল জানান, মামলাটি বর্তমানে সিআইডির কাছে রয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।