বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফলে শিক্ষা উপবৃত্তি দেওয়ার নামে শিক্ষা বোর্ডের কথা উল্লেখ করে ০১৮৬৩৫৭৬২১৮ নম্বর এ যোগাযোগ করার কথা বলে অভিভাবকের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। আজ সোমবার দুপুরে কেশবপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারের এমন ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে বিকাশ এজেন্টের ব্যবসায়ীর সচেতনতায় ওই প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পয়েছেন এক মাদরাসা শিক্ষক। ওই শিক্ষকের নাম মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি কেশবপুর ফজলুল হক ফাজিল মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারী ওই শিক্ষকের মোবাইলে ০১৫৭৬৬৫০৬১১ এই নম্বর থেকে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। তাতে উল্লেখ ছিল, প্রিয় শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসের কারণে তোমাদের উপবৃত্তির ৪ হাজার ২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহনের জন্য শিক্ষাবোর্ডের ০১৮৬৩৫৭৬২১৮ এই নম্বরে যোগাযোগ করুন। ক্ষুদে বার্তা পেয়ে ওই শিক্ষক একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় ওই নম্বরে ফোন দিলে তা রিসিভ করে এক ব্যক্তি বলেন আপনার বিকাশ নম্বর দিন। এরপর ওই শিক্ষক একটি বিকাশ নম্বর দিলে তিনি বলেন আপনার নম্বরে একটি ভ্যারিফিকেশন কোড নম্বর যাবে সেটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দিতে হবে। কথা অনুসারে ওই ভ্যরিফিকেশন কোড নম্বর দেন শিক্ষক। এরপর শিক্ষকের মোবাইলে ১২ হাজার ৫০০ টাকার একটি বিকাশের ম্যাসেজ আসে। তখন ওই প্রতারক চক্র বলেন আপনি বিকাশের কোন দোকানে গিয়ে আপনার বিকাশ নম্বরে ২২ হাজার ৫০০ টাকা সেন্ট করেল একটি পিন নম্বর পাবেন। সেই পিন নম্বর দিয়ে এক সাথে পুরো টাকা তুলে নিবেন। এ সময় ফোনের লাইন কাটা যাবেনা এবং দোকানে কোন কথা বলা যাবেনা বলে জানান ওই প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের কথা অনুসারে ওই শিক্ষক কেশবপুর চৌমুহনী বাজারে গিয়ে শাহীন নামে এক বিকাশের দোকানীকে নিজের বিকাশ নম্বরে ২২ হাজার ৫০০ টাকা সেন্ট করতে বলেন। এসময়ে দোকানী বিভিন্ন প্রশ্ন করলে এবং প্রতারক চক্রের কথায় ওই শিক্ষকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় পরে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং প্রত্যারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।
দোকানী শাহীন বলেন, এভাবে ভ্যারিফিকেশন কোড নম্বর নিয়ে প্রতারক চক্র বিকাশের গোপন পিন নম্বর জেনে টাকা সেন্ট করার সাথে সাথে তা হাতিয়ে নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।