Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চন্দনাইশে শীতকালীন শিমে কৃষকের ভাগ্যবদল

এম. এ. মোহসীন, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

চন্দনাইশে শীতকালীন শিম চাষে চাষিদের মুখে হাসির আভা দেখা দিয়েছে। শীত মৌসুমে শিম চাষে কৃষকদের আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে হাসির দেখা মিলেছে। বিভিন্ন রকমারি সবজি চাষের মধ্যে শিম চাষও করা হয়েছে উপজেলার সর্বত্র। কাঞ্চনাবাদ, হাসিমপুর, জামিরজুরি, দোহাজারী, সাতবাড়িয়া, বৈলতলী, বরমা, বরকল, হারালা, জোয়ারাসহ চন্দনাইশ উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও শিম চাষ করা হয়েছে বেশি ফলনে আশায়। চন্দনাইশের চাষিদের উৎপাদিত এসব শিম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিন রপ্তানি হয়। মাসের পর মাস বছর ঘুরে বদলে দিচ্ছে শিম চাষে কৃষি অর্থনীতি। বদলে দিচ্ছে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তনের দুয়ার। একজন শিম আবাদকর্মীকে সারা বছর শিম চাষে তার অভাব মুছিয়ে তাকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে। কৃষক মুহাম্মদ মুছা জানান, শিম চাষের জন্য বেশি জমি দরকার হয় না। অন্যান্য ফসলের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সবজি ক্ষেতের চার পাশের আটিতে শিম চাষ করা যায়। বার মাস এ শিমের চাষ হয়। কৃষককের চাষাবাদে সরকারিভাবে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা পেলে সারাবছর কৃষি কাজে রকমারি ফসল উৎপাদনে ও ফলনে ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। বৈলতলী ইউপি চেয়ারম্যান এস. এম. সায়েম জানান, এ ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে গেছে শঙ্খ নদী। এ নদীর পানিতে কৃষকদের চাষাবাদ হতো সারা বছর। নদীর তীরবর্তী এলাকাজুড়ে সারা বছর শিম আবাদ করে চাষিরা। এ উপজেলার চারদিকে পল্লী এলাকার গ্রাম-গঞ্জের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া শঙ্খ নদীর বিভিন্ন উপশাখা খালগুলি ভরাট হয়ে চর জেগে ওঠেছে। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল জানান, বরুমতি খাল, মরাছরা খাল, সাতবাড়ীয়া খাল, হদ্দাগা ভাঙা খালসহ উপজেলার অসংখ্য খাল ভরাট হয়ে গেছে। এসব খালের পানিতে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ চলত।
উপজেলা কৃষি অফিসার স্মৃতিরানী সরকার বলেন, এবারে ৪৮০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে এ জন্য কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সাতবাড়ীয়ার কৃষক বাছন আলী জানান- সে ১২ গন্ডা জমিতে শিমের চাষ করেছেন, এতে প্রায় ২০ হাজার টাক খরচ হয়েছে। সব ধরনের সারের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিকের মজুুুরি বৃদ্ধি, ফলে লাভের মুখ আগের মত মিলছে না। কৃষক বদিউল আলম জানান, কৃষকেরা সারা বছর শিম চাষ করে। পুকুরপাড়ে নদীর ধারে, শঙ্খ নদীর দু’তীরে শিমের ফলন দেখার মত দৃশ্য। কৃষকেরা সারাজুড়ে কৃষি কাজে চাষাবাদ করে হরেক রকম ফসল উৎপাদনেও রকমারি সবজি ফলনের মধ্যদিয়ে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। কৃষকরা সহজ শর্তে ঋণ পেলে বছরজুড়ে রকমারী ফসল-সবজি উৎপাদনে সহায়ক হবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ