Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাকৃবির অষ্টম সমাবর্তনে গোল্ড মেডেল পাচ্ছেন ২০১ জন/ বাকৃবির সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন ৬৫২২ জন শিক্ষার্থী

বাকৃবি প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:১১ পিএম

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে । ওইদিন সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে (স্টেডিয়াম) সমাবর্তনটি অনুষ্ঠানটি হবে। এবার সমাবর্তনে গোল্ড মেডেল পাচ্ছেন মোট ২০১ জন শিক্ষার্থী।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক এবং সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দীন মোহাম্মদ দীনু আরও বলেন, জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ¯œাতক, জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে এপ্রিল-সেপ্টম্বর ২০২২ পর্যন্ত ¯œাতকোত্তর এবং ২০১৬ থেকে অদ্যবধি পিএইচডিসহ মোট ১৩ হাজার ৩শত ৮৯ জন শিক্ষার্থী এ সমাবর্তনের আওতাভূক্ত ছিল। এর মধ্যে সমাবর্তনের জন্যে মোট ৬৫২২ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। যার মধ্যে ৫৬ জন পিএইচ.ডি., ১৫১৯ জন ¯œাতকোত্তর এবং ৪৯৪৭ জন ¯œাতক শিক্ষার্থী।

৮ম সমাবর্তনের জন্যে এবার গোল্ড মেডেল বা স্বর্ণপদকের জন্যে মনোনীত হয়েছেন মোট ২২৪ জন। যার মধ্যে ¯œাতকোত্তর পর্যায়ে ২০৬ জন এবং ¯œাতক পর্যায়ে ১৮ জনসহ মোট ২২৪ জন মনোনীত হয়েছে। এদের মধ্যে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ¯œাতকোত্তর ১৮৩ জন এবং ¯œাতক ১৮ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নকারী মোট ২০১ জন সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পাবেন। এছাড়া ¯œাতক অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত মনোনীত হয়েছেন মোট ৫০ জন। যার মধ্যে ৪২ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে অনুশাসন অনুযায়ী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক । অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ।

সমাবর্তন আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে সমাবর্তন আয়োজন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। একসাথে অনেক গ্র্যাজুয়েটকে নিয়ে এটি হতে যাচ্ছে বাকৃবির ইতিহাসে অন্যতম বড় একটি সমাবর্তন। তবে ৮ম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই রাষ্ট্রপতি সমাবর্তনে আসছেন না। এখন বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে সমাবর্তন আয়োজনের ব্যবস্থা করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো.আজহারুল ইসলাম, সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, গোল্ড মেডেল ও পুরস্কার উপ কমিটির সদস্য সচিব মো. ইউছুব আলী মন্ডল,সাংস্কৃতিক উপ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা, সাংস্কৃতিক উপ কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. আসলাম আলী, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ, বাকৃবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রিফা সাজিদাসহ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ